বর্ধমানের মোহনবাগান মাঠে চলছে যোগ-শিবির। নিজস্ব চিত্র।
আন্তর্জাতিক যোগদিবসে নানা অনু্ষ্ঠান হয়ে গেল জেলা জুড়ে। মঙ্গলবার সকালেই বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক যোগ দিবসের প্রদর্শনী ও যোগাভ্যাস হয় মোহনবাগান মাঠে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া, কর্মী এবং আধিকারিকদের একাংশ ওই যোগ প্রদর্শনীতে যোগ দেন। উদ্বোধন করেন উপাচার্য স্মৃতিকুমার সরকার। ছিলেন সহ-উপাচার্য ষোড়শীমোহন দাঁ, কর্মসচিব দেবকুমার পাঁজা প্রমুখ। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রীড়া বিভাগীয় আধিকারিক সুরজিৎ নন্দী জানান, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর স্তরে যোগ থেরাপি নিয়ে দেড় বছরের একটি ডিপ্লোমা কোর্স পড়ানো হয়। এ ছাড়া তিন মাসের একটি সার্টিফিকেট কোর্সও রয়েছে। আউশগ্রাম থানার অভিরামপুরেও এক যোগ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। কেন্দ্রীয় সরকারের ফিল্ড পাবলিসিটি বিভাগের উদ্যোগে এই প্রদর্শনীতে যোগ দেয় স্থানীয় পড়ুয়ারা।
কালনার স্কুলে। নিজস্ব চিত্র।
একটি স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবির ও এলাকার গ্রামীণ উপভোক্তাদের জন্য ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলারও ব্যাবস্থা করা হয়। কাটোয়া কেডিআই স্কুলেও ভোরে প্রাক্তন ছাত্রদের তরফে প্রায় দেড়শো জন যোগ উৎসবে সামিল হন। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুধীন মণ্ডল ও মহকুমাশাসক মৃদুল হালদার-সহ প্রতিদিনের প্রাতঃভ্রমণকারীরা ধনুরাসন, অর্ধচন্দ্রাসন, ভুজঙ্গাসনের মাধ্যমে যোগের উপকারীতা আলোচনা করেন। দুপুরেও ওই স্কুলের শরীরশিক্ষার শিক্ষক সন্তু মণ্ডল, পঙ্কজ সাহা ও সমর মণ্ডলের তত্ত্বাবধানে ছাত্ররা যোগ অনুশীলন করে। জীবন বিমা নিগমের কাটোয়া শাখার পক্ষ থেকেও যোগ শিবিরের আয়োজন করা হয়। আর্য ব্যায়াম সমিতির প্রশিক্ষক অমর চট্টোপাধ্যায়ের তত্ত্বাবধানে প্রায় ৪০ জন পূর্নসুপ্তবজ্রাসন, একপদশিকন্দাসনের মাধ্যমে যোগ উৎসবে যোগ দেন। ওই শাখার ম্যানেজার (প্রশাসন) শশাঙ্ক ঘোড়ুই জানান, এই নিয়ে দ্বিতীয় বর্ষে পা দিল জীবন বিমা নিগমের কাটোয়া শাখার যোগ উৎসব। বিকেলে ঘোষহাট শিল্প সমবায় সমিতির প্রাঙ্গণে ওরিয়েন্টাল যোগ সেন্টার আয়োজিত যোগ প্রদর্শনী ও যোগ আলোচনাও হয়। মঙ্গলকোট থানার মাথরুন নবীনচন্দ্র বিদ্যায়তনেও পালিত হয় যোগদিবস। কালনার অ্যাকমে অ্যাকাডেমি স্কুলেও যোগ শিবিরে হাজির হয় প্রায় ৭০০ ছাত্রছাত্রী। তাদের দু’ভাবে ভাগ করে শিবিরটি হয়। প্রশিক্ষক তাদের শেখান কিভাবে যোগব্যায়াম করতে হয়, কোন আসনের কি উপকারিতা। স্কুলের চেয়ারম্যান সুশীল মিশ্র বলেন, ‘‘যোগাভ্যাস করলে শুধু শারীরিক ভাবেই নয়, মানসিক ভবেও ছাত্রছাত্রীরা চাঙ্গা থাকবে। বাড়বে পড়ায় মনোযোগিতা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy