এক যুবককে মারধর করার অভিযোগ উঠল একটি পরিবারের লোকজনের বিরুদ্ধে। রবিবার ঘটনাটি ঘটে দুর্গাপুরের এমএএমসি টাউনশিপের সি-ডি কলোনিতে। পুলিশ আহত যুবককে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছে। ছেলেধরা সন্দেহেই ওই যুবককে পেটানো হয়েছে বলে পুলিশ প্রাথমিক ভাবে জেনেছে।
শিশুটির কাকা বিপুলকুমার মাহাতো পুলিশকে জানিয়েছেন, ওই যুবক মাস চারেক ধরে সন্দেহজনক ভাবে তাঁদের বাড়ির আশপাশে ঘোরাঘুরি করছিলেন।
একবার দরজা খুলে তাঁর সাড়ে তিন বছরের ভাইপোর হাত ধরে ওই যুবককে টানাটানি করতে দেখেন। যুবকটিকে ছেলেধরা বলে সন্দেহ হয় তাঁদের। তাঁরা তাঁকে ভয় দেখিয়ে এলাকা ছাড়া করেন। তার পরে আর ওই যুবক আর আসেননি। বিপুলবাবু জানান, দিন পনেরো ধরে যুবকটি আবার আসছেন।
বিপুলবাবুর দাবি, এ দিন সকালে তাঁদের বাড়ির পিছনের দিকের ফাঁকা জঙ্গলঘেরা জায়গায় ওই যুবককে দেখা যায়। তাঁরা কাছে যেতেই তিনি একটি পরিত্যক্ত আবাসনে লুকিয়ে পড়ে। তাঁকে বেরিয়ে আসতে বললে ভিতর থেকে ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকেন বলে অভিযোগ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, যুবকটিকে শেষ পর্যন্ত ভিতর থেকে টেনে বের করা হয়। মারধর শুরু হতেই তিনি হাত ছাড়িয়ে মামরা বাজারের দিকে দৌড়াতে থাকেন।
পথচলতি মানুষজন তাঁকে আটকে রেখে থানায় খবর দেন। পুলিশ এসে তাঁকে উদ্ধার করে মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, যুবকটির সারা গায়ে নোংরা, কাদা লেগে ছিল। তাঁর নাক ফেটে রক্ত ঝরছিল। পুলিশ শিশুটির বাবা ও কাকাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। বিপুলবাবুর অবশ্য দাবি, ‘‘কেউ ওকে মারধর করেনি। ঘরের ভিতর থেকে টেনে বের করার সময় শুয়ে পড়ায় মাটি, কাদা লেগে গিয়েছে।’’
স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ দাবি, করেছে যুবকটির চালচলন বেশ খানিকটা অস্বাভাবিক। বারণ করলেও এলাকা ছেড়ে যান না। এমনকী কথাবার্তা বলেন না। সেজন্যই তাঁর উপরে সন্দেহ বেড়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, যুবকটির নাম-পরিচয় জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। ওই যুবক মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন।