তদন্ত: আসানসোলের হোটেলে পুলিশ। —নিজস্ব চিত্র।
হোটেলের ঘর থেকে এক যুবকের দেহ উদ্ধারের পরে পরিচয় নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হল আসানসোলে। অন্যের পরিচয়পত্র জমা দিয়ে ওই যুবক হোটেলটিতে ছিলেন বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। শেষমেশ মৃতের পরিচয় মিলেছে। তবে কী ভাবে তাঁর মৃত্যু হয়েছে, সে নিয়ে ধন্দে পুলিশ। মৃত্যুর কারণ জানতে দেহ ময়না-তদন্তে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ জানায়, মৃত গিরিশ রায়ের (৩৫) বাড়ি বারাবনির লালগঞ্জে। ৬ অগস্ট থেকে তিনি আসানসোল দক্ষিণ থানার কাছে জিটি রোডের পাশে পুরসভা লাগোয়া একটি হোটেলে ছিলেন। হোটেলের কর্মীরা জানান, সোমবার থেকে ঘরের বাইরে না বেরনোয় তাঁদের সন্দেহ হয়। মঙ্গলবার সকালে ঘরের দরজা ভাঙার পরে গিরিশবাবুর দেহ বিছানায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। পুলিশে খবর দেন হোটেল কর্তৃপক্ষ।
এসিপি (সেন্ট্রাল) বরুণ বৈদ্য জানান, মৃতের পরিচয় নিয়ে প্রথমে ধন্দে পড়ে পুলিশ। কারণ, হোটেলে ঘর ভাড়া নেওয়ার সময়ে তিনি যে ভোটার কার্ডের প্রতিলিপি জমা দিয়েছিলেন, খোঁজ নিয়ে জানা যায় সেটি জামুড়িয়ার এক ব্যক্তির। এর পরে মৃতের ব্যাগ পরীক্ষা করে পাওয়া একটি পরিচয়পত্র থেকে মৃতের প্রকৃত নাম-ঠিকানা জানা যায়।
কেন গিরিশবাবু নিজের পরিচয় লুকিয়ে হোটেলে ঘর ভাড়া নিলেন, কী করেই বা অন্যের পরিচয়পত্র হাতালেন, সে নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এসিপি বরুণবাবু জানান, তদন্তে জানা গিয়েছে, অনেককে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে তাঁদের ভোটার কার্ডের প্রতিলিপি নিয়েছিলেন গিরিশবাবু। তেমনই একটি পরিচয়পত্র দেখিয়ে তিনি হোটেলে ওঠেন। কিন্তু হোটেলের কর্মী পরিচয়পত্র ভাঁড়ানোর বিষয়টি বুঝতে পারলেন না কেন, তা তদন্ত করছে পুলিশ। এসিপি জানান, হোটেলের মালিক মহম্মদ কালাম খানকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। ভবিষ্যতে শহরের হোটেলগুলিতে এই ধরনের গাফিলতি আটকাতে পুলিশের তরফে বিশেষ পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy