আক্রান্ত দলীয় কর্মী-সমর্থকদের পাশে দাঁড়াতে রবিবার গলসি, বুদবুদ ও দুর্গাপুর-ফরিদপুর ব্লক ঘুরে গেল রাজ্য বিজেপি-র একটি প্রতিনিধি দল। নেতৃত্বে ছিলেন, দলের সাধারণ সম্পাদক রবিন চট্টোপাধ্যায়।
এ দিন রবিনবাবু বলেন, “নির্দিষ্ট ভাবে অভিযোগ করার পরেও অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হচ্ছে না। উল্টে আমাদের আক্রান্ত কর্মী-সমর্থকদের হেনস্থা করা হচ্ছে।” রবিনবাবু ছাড়াও এ দিন দলে ছিলেন রাজ্য যুব সভাপতি অমিতাভ রায়, সহ সভানেত্রী কৃষ্ণা ভট্টাচার্য, সহ সভাপতি বাদশা আলম, সম্পাদিকা মনীষা চট্টোপাধ্যায় এবং তফশিল জাতি মোর্চার সভাপতি বিনয় অধিকারী।
বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, মে মাসের শেষ দিকে গলসি, বুদবুদ, দুর্গাপুর ফরিদপুর ব্লকের বিভিন্ন জায়গায় দলীয় কর্মী-সমর্থকরা আক্রান্ত হয়েছেন। এ দিন প্রতিনিধি দলটি প্রথমে গলসির পুরষুরা গ্রামে আক্রান্ত দলীয় কর্মী-সমর্থকদের বাড়িতে যায়। বিজেপি-র অভিযোগ, গত ২৪ মে বুদবুদের অ্যামুনিশন ডিপো রোডে একটি দলীয় অফিস উদ্বোধনে করতে গিয়ে বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা আক্রান্ত হয়। জখম হন বেশ কয়েক জন। দলীয় অফিস ঘুরে, তাঁদেরই অন্যতম গৌতমবাবুর বাড়ি, বুদবুদও যায় দলটি। ২৯ জুন থানা ঘেরাও কর্মসূচি পালন করে ফেরার সময় আক্রান্ত হন লবণাপাড়ার বিমল বেসরা। তিনি এখন কলকাতার একটি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তাঁর পরিবারের লোকজনের সঙ্গে দেখা করেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। তাঁরা যান বড়গোড়িয়া গ্রামের সুজয় বাউড়ি ও লাউদোহার আশিস গড়াইয়ের বাড়িতেও। বিজেপির অভিযোগ, সেদিন সুজয়বাবুর বাড়ি লুঠ করা হয়। থানা থেকে ফেরার সময় আশিসবাবু আক্রান্ত হন। পরিদর্শন শেষে দলটি যায় ফরিদপুর (লাউদোহা) থানায়। সেখানে দোষীদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান দলের সদস্যরা। প্রতিনিধি দলের সঙ্গে ছিলেন দুর্গাপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অখিল মন্ডল। তিনি বলেন, “দলীয় কর্মী-সমর্থকদের মনোবল বাড়াতে এবং পুলিশ-প্রশাসনের উপরে চাপ বাড়াতে রাজ্য প্রতিনিধির দলটি ঘুরে গেল। আশা করি, এ বার পুলিশ উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে।”
পুলিশ অবশ্য কাউকে হেনস্থার জানায়, অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।