বড়দিনের আগে কেকের দোকানে জমল ভিড়। কেক প্রস্তুতকারী বড় সংস্থার দোকান থেকে পাড়ার ছোট দোকান, সর্বত্রই ভাল বিক্রি হয়েছে বলে জানাচ্ছেন বিক্রেতারা। তাঁদের অনেকের দাবি, জিএসটি কমে যাওয়ায় এ বার কেকের দাম অন্য বছরের তুলনায় কমেছে। তাইবিক্রিও বেড়েছে। বুধবার শহরের কেকের দোকানগুলিতে ক্রেতার ভাল ভিড় ছিল।
ফ্রুট কেক, চকোলেট কেক, পাম কেক, বাদাম কেক, কিসমিস কেক-সহ নানা রকমের কেকে এখন পাওয়া যায় বাজারে। দুর্গাপুর সিটি সেন্টারের একটি ভিন্ রাজ্যের কেক প্রস্তুতকারী সংস্থার দোকানের কর্তা সন্দীপ কর্মকার জানালেন, তাঁদের দোকানে বিভিন্ন ধরনের ফ্রুট কেক, ক্যান্ডি কেক বেশি সংখ্যায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া, ডিম না থাকা ফ্রুট কেকের চাহিদা রয়েছে। এই সব কেকের দাম ৫০০ টাকার মধ্যে।
আবার, শহরের একটি পাড়ার দোকানের কর্মী বাবুসোনা লোহার জানান, গত বারের চেয়ে এ বার বেশি কেক রেখেছেন দোকানে। কারণ, সোমবার থেকেই ভাল পরিমাণে কেক বিক্রি হচ্ছে। তিনি বলেন, “কেকের দাম কমেছে। তাই গত বারের চেয়ে বাজার ভাল।’’ তিনি জানান, গত বছর যে কেকের দাম ছিল ২৫০ টাকা, এ বার তা হয়েছে ২৩০ টাকা। প্রায় এই হারেই সব কেকের দাম কমেছে।
বহুজাতিক একটি কেক প্রস্তুতকারী সংস্থার আধিকারিক কাজল দত্ত জানান, সব ধরনের ক্রেতার কথা মাথায় রেখে কেকের দাম ১২০ টাকা থেকে শুরু হয়েছে। গত বারের চেয়ে এ বার চাহিদা বেশি, জানান তিনিও। কেক কিনতে আসা অনিতা রায়, বিশ্বদীপ কুণ্ডুরা বলেন, ‘‘অন্য বছরের থেকে এ বার বেশি ধরনের কেক পাওয়া যাচ্ছে। সঙ্গে ঠান্ডাও পড়েছে ভাল। সব মিলিয়ে, বড় দিন খুব ভাল কাটবে।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)