লুঠ হওয়া দোকান। নিজস্ব চিত্র।
ফের চুরির ঘটনা ঘটল দুর্গাপুরের কোকওভেন থানা এলাকায়। দুর্গাপুর প্রজেক্টস লিমিটেডের (ডিপিএল) দুই আধিকারিকের বাড়িতে চুরির পরে দশ দিনও পেরোয়নি। ধরা পড়েনি দুষ্কৃতীরাও। তারই মধ্যে এলাকায় ফের চুরি দুশ্চিন্তায় ফেলেছে স্থানীয় বাসিন্দাদের।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার রাতে এসবিএসটিসি গ্যারাজ মোড়ে একটি মোবাইলের দোকানের ঘুলঘুলি ভেঙে চোর ঢোকে। মোবাইল ও মোবাইলের যন্ত্রাংশ লুঠ হয়েছে বলে থানায় অভিযোগ করেছেন দোকানটির মালিক শচীন্দ্র মাহাতো। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত চলছে।
শচীন্দ্রবাবু জানান, রবিবার রাতে যথারীতি দোকান বন্ধ করে বাড়ি চলে যান তিনি। সকালে দোকান খুলতে গিয়ে দেখেন, জিনিসপত্র নেই। শুধু তাই নয়। ভিতরে রাখা বেশ কিছু সামগ্রী আগুনে পুড়ে গিয়েছে। তখনও ধিকধিক করে আগুন জ্বলছে। তিনি বলেন, “দোকানে ৪০টি দামি মোবাইল ফোনের সেট ছিল। মোবাইলের যন্ত্রাংশও ছিল। চোরেরা সব নিয়ে পালিয়েছে। তাছাড়া আগুনে দোকানেরও বড়সড় ক্ষতি হয়েছে।” পুলিশ জানায়, দোকানের পিছনের ঘুলঘুলির কাছে বেশ কিছুটা ভাঙা। প্রাথমিক অনুমান, সেখান দিয়েই চোর ঢোকে। কোনও কারণে শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগে থাকতে পারে।
থানা থেকে এক-দেড় কিলোমিটারের মধ্যে বারবার চুরির ঘটনায় আতঙ্কিত এলাকার বাসিন্দারা। দোকানের মালিক শচীন্দ্রবাবুর কথায়, “কার্যত ঢিল ছোড়া দূরত্বে থানা। অথচ, রাতে নির্বিঘ্নে দুষ্কৃতীরা চুরি করে পালাচ্ছে।” গত ২২ নভেম্বর থানা থেকে প্রায় একই দূরত্বে ডিপিএল টাউনশিপে কাছাকাছি দুই আধিকারিকের বাংলোয় ভরসন্ধ্যায় হানা দেয় দুষ্কৃতীরা। সেই সময় দু’টি বাড়িতেই কেউ ছিলেন না। ঘড়ি, ক্যামেরার মতো মূল্যবান জিনিস তো বটেই, বাসনপত্র থেকে শুরু করে চাল, ডাল, তেল, নুনও নিয়ে পালায় দুষ্কৃতীরা। এ সব লুঠ করতে বেশ কিছু ক্ষম সময় লাগলেও পুলিশের কোনও নজরদারি ভ্যানের কেন কিছু নজরে এল না, প্রশ্ন তোলেন বাসিন্দারা।
বাসিন্দাদের অভিযোগ, দুষ্কৃতীদের রুখতে না পারলেও রাতে পাড়ায় গিয়ে স্থানীয় যুবকদের চোটপাট করে পুলিশ। শনিবার রাতেই রাতুড়িয়া এলাকায় এমন এক ঘটনার পরে প্রতিবাদ জানাতে রবিবার সকাল পর্যন্ত হ্যানিম্যান সরণি অবরোধ করেন বাসিন্দারা। পুলিশ অবশ্য এই অভিযোগ মানেনি। চুরির ঘটনার তদন্ত চলছে বলে জানায় পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy