প্রতিশ্রুতি মতো এলাকার উন্নয়নে কাজ না করার অভিযোগে বেসরকারি কারখানার জলের পাইপলাইন পাতার কাজে বাধা দিলেন কিছু গ্রামবাসী। জামুড়িয়ার বাড়ুল গ্রামের কাছে কাজ করতে গেলে এক কর্মীকে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। ইকড়া শিল্পতালুকের ওই কারখানা কর্তৃপক্ষ পুলিশে অভিযোগ করেছেন। ব্লক প্রশাসনের একটি দল পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ঘটনাস্থলে যায়। পুলিশ জানায়, একটি গোলমাল হয়েছিল। তা মিটে গিয়েছে।
ওই স্পঞ্জ আয়রন কারখানা সূত্রে জানা গিয়েছে, সংস্থার জলের সমস্যা মেটাতে আট কিলোমিটার দূরে অজয়ে একটি জলাধার তৈরির কাজ শুরু করা হয়। সেই জলাধার থেকে লাগোয়া এলাকায় সেচের জলের জোগান দেওয়ার কর্মসূচিও তাঁরা নিয়েছেন। মঙ্গলবার বর্ধমান জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি প্রিয়া সূত্রধর জলাধারের শিলান্যাস করেন। দু’দিন পেরোতে না পেরোতেই বাড়ুল গ্রামের যশবাঁধ পুকুরের সামনে গ্রামের কিছু বাসিন্দা পাইপলাইন বসানোর কাজে বাধা দিলেন। অভিযোগ, তাঁরা কারখানার মাটিকাটার যন্ত্রের চালককে নিগ্রহ করে কাজ বন্ধ করে দেন। ওই কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তা এ কে বর্মণ অবশ্য দাবি করেন, লাগোয়া এলাকায় সামাজিক উন্নয়নে তাঁরা প্রতিশ্রুতি মতো কাজ করতে শুরু করেছেন। তার পরেও এমন ঘটনা ঘটায় তাঁরা জামুড়িয়া থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। তাঁরা চান প্রশাসন এ ব্যাপারে সহযোগিতা করুক।
জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি প্রিয়া সূত্রধর বলেন, “বীরকুলটি গ্রামের গা ঘেঁষে গিয়েছে অজয়। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ওই গ্রামের বাসিন্দাদের নিয়ে জামুড়িয়ার বিডিও একটি বৈঠক করেন। আমন্ত্রণ পেয়ে সেখানে আমি গিয়েছিলাম। কারখানা কর্তৃপক্ষের উপস্থিতিতে গ্রামবাসীরা এলাকার রাস্তায় ১২০টি আলো ও সেচের জল সরবরাহের দাবি জানিয়েছিলেন। সে নিয়ে একটি প্রস্তাব গৃহীত হয়। সেখানে লেখা হয়, কাজের অগ্রগতি নিয়ে আবার গ্রামবাসীরা এ ভাবে ত্রিপাক্ষির বৈঠকে বসবেন। গ্রামবাসীদের অনুরোধে আমি জলাধারের শিলান্যাসও করেছি। আবার কেন কাজে বাধা দেওয়ার ঘটনা ঘটল, সে নিয়ে কিছু বলতে পারব না।” জামুড়িয়ার বিডিও বুদ্ধদেব পান জানান, গণ্ডগোলের খবর পেয়ে প্রতিনিধি দল ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছিল। তাদের কাছ থেকে তদন্ত রিপোর্ট পেলে বিষয়টি পরিষ্কার হবে। তিনি বলেন, “পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে বলে জানতে পেরেছি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy