Advertisement
০২ মে ২০২৪

কর্মীরা প্রহৃত, সুরক্ষা চাইছে স্পঞ্জ কারখানা

শ্রমিক ছাঁটাইয়ের পরে বিক্ষোভ চলছে কারখানায়। এই পরিস্থিতিতে তিন কর্মীকে মারধর করা হয়েছে অভিযোগে পুলিশকে চিঠি পাঠিয়ে নিরাপত্তার দাবি করলেন বর্ধমানের জামুড়িয়ার একটি স্পঞ্জ আয়রন কারখানা কর্তৃপক্ষ। উপযুক্ত নিরাপত্তা না পেলে কাজ বন্ধ করে দিতে বাধ্য হবেন বলে হুমকিও দিয়েছেন তাঁরা।

নিজস্ব সংবাদদাতা
জামুড়িয়া শেষ আপডেট: ২৯ অগস্ট ২০১৪ ০২:৩২
Share: Save:

শ্রমিক ছাঁটাইয়ের পরে বিক্ষোভ চলছে কারখানায়। এই পরিস্থিতিতে তিন কর্মীকে মারধর করা হয়েছে অভিযোগে পুলিশকে চিঠি পাঠিয়ে নিরাপত্তার দাবি করলেন বর্ধমানের জামুড়িয়ার একটি স্পঞ্জ আয়রন কারখানা কর্তৃপক্ষ। উপযুক্ত নিরাপত্তা না পেলে কাজ বন্ধ করে দিতে বাধ্য হবেন বলে হুমকিও দিয়েছেন তাঁরা।

শ্রমিক ছাঁটাইয়ের পরে গত সোমবার থেকে ওই কারখানার গেটে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন সিটুর কর্মী-সমর্থকেরা। কারখানা কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, বুধবার রাতে তাঁদের তিন কর্মীকে মারধর করে জনা পনেরো অপরিচিত লোক। কাজ চালিয়ে গেলে প্রাণে মারার হুমকিও দেয়। কারখানার জেনারেল ম্যানেজার সুদীপ্ত ভট্টাচার্যের দাবি, “কর্মীরা আতঙ্কিত। এ রকম চললে সাসপেনশন অফ ওয়ার্ক নোটিস ঝোলাতে বাধ্য হব।”

আসানসোল-দুর্গাপুরের এডিসিপি (সেন্ট্রাল) বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন, “অভিযুক্তদের খোঁজ চলছে। আমরা কারখানার পাশে আছি। আতঙ্কের কারণ নেই।” আসানসোলের উপ-শ্রম আধিকারিক পার্থপ্রতিম চক্রবর্তী বলেন, “৮ সেপ্টেম্বর দু’পক্ষকে নিয়ে বৈঠক হবে।” সিটুর অভিযোগ, ন্যূনতম বেতনের দাবিতে আন্দোলন করায় ২৫ জন ঠিকা শ্রমিককে ছাঁটাই করেন কারখানা কর্তৃপক্ষ। তাঁদের কাজে ফেরানোর দাবিতে বিক্ষোভ চলছে। কারখানা কর্তৃপক্ষের দাবি, বিক্ষোভের জেরে সোম ও মঙ্গলবার উৎপাদন হয়নি। কর্মীদের কাজে যোগ দিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগে আট জন বিক্ষোভকারীকে ধরে পুলিশ। বুধবার খানিকটা কাজ শুরু হয়। তার পরেই রাতে তিন কর্মীকে রাস্তা আটকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।

জামুড়িয়ার সিটু নেতা মনোজ দত্ত অবশ্য কারখানার কর্মীদের মারধরে সংগঠনের কারও জড়িত থাকার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেন। তাঁর পাল্টা অভিযোগ, “একে এই কারখানা দূষণ নিয়ন্ত্রণ-সহ নানা নিয়ম মানে না, তার উপরে ইচ্ছেমতো ছাঁটাই করেছে।” মনোজবাবুর সংযোজন, কারখানা কর্তৃপক্ষ চাইলেই ‘সাসপেনশন অফ ওয়ার্ক’-এর নোটিস ঝোলাতে পারবেন না। কারণ, তাঁদের ব্যাঙ্ক ঋণ রয়েছে। কাজ বন্ধের কথা বলে তাঁরা প্রশাসনকে চাপে রাখতে চাইছেন।

কারখানার জেনারেল ম্যানেজার আবার সিটুর তোলা সব অভিযোগ নস্যাৎ করেছেন। তাঁর দাবি, শ্রমিক-ছাঁটাই করেছেন সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার। তাই এ ব্যাপারে তাঁদের কিছু করার নেই। তিনি বলেন, “দিনের পর দিন উৎপাদন না হলে শিল্প আইনে লক-আউট ঘোষণার ক্ষমতা আছে। প্রয়োজনে তা-ই করব।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

jamuria sponge iron
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE