Advertisement
০৭ মে ২০২৪

ঝাঁঝড়ায় খনি দুর্ঘটনায় মৃত্যু, বিক্ষোভ

খনিতে কর্মরত অবস্থায় এক শ্রমিকের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে অশান্তি হল দুর্গাপুরের ফরিদপুর (লাউদোহা) থানার ঝাঁঝড়া কোলিয়ারিতে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত শ্রমিকের নাম গণেশচন্দ্র ঘোষ (৪৭)। তাঁর বাড়ি স্থানীয় কালীপুরে। মৃত শ্রমিকের নিকট আত্মীয়ের চাকরির দাবিতে খনির উত্‌পাদন বন্ধ রেখে ও মৃতদেহ আটকে বিক্ষোভ দেখায় কোলিয়ারির সবকটি শ্রমিক সংগঠন। ইসিএল কর্তৃপক্ষ চাকরির আশ্বাস দেওয়ার পরে বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ বিক্ষোভ ওঠে।

মৃত খনিকর্মী।

মৃত খনিকর্মী।

নিজস্ব সংবাদদাতা
লাউদোহা শেষ আপডেট: ১০ এপ্রিল ২০১৪ ০০:৩০
Share: Save:

খনিতে কর্মরত অবস্থায় এক শ্রমিকের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে অশান্তি হল দুর্গাপুরের ফরিদপুর (লাউদোহা) থানার ঝাঁঝড়া কোলিয়ারিতে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত শ্রমিকের নাম গণেশচন্দ্র ঘোষ (৪৭)। তাঁর বাড়ি স্থানীয় কালীপুরে। মৃত শ্রমিকের নিকট আত্মীয়ের চাকরির দাবিতে খনির উত্‌পাদন বন্ধ রেখে ও মৃতদেহ আটকে বিক্ষোভ দেখায় কোলিয়ারির সবকটি শ্রমিক সংগঠন। ইসিএল কর্তৃপক্ষ চাকরির আশ্বাস দেওয়ার পরে বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ বিক্ষোভ ওঠে।

কোলিয়ারি ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গণেশবাবু বেল্ট অপারেটর পদে কর্মরত ছিলেন। মঙ্গলবার রাত ২ টো নাগাদ ঝাঁঝড়া কোলিয়ারির তৃতীয় পালিতে কাজ করতে নেমেছিলেন। বুধবার সকাল ৬ টা নাগাদ যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে কয়লা তোলার বেল্ট তাঁর শরীরে আটকে যায় তাঁর। খবর পেয়ে চিকিত্‌সক ও খনির আধিকারিকরা দ্রুত খনিগর্ভে নামেন। সেখানেই চিকিত্‌সকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপরেই ওই কোলিয়ারির সিটু, আইএনটিইউসি ও আইএনটিটিইউসি’র সমর্থকরা মৃতের নিকট আত্মীয়কে চাকরির দেওয়ার দাবি জানান। খনি কর্তৃপক্ষ দেহ তুলতে গেলেও বাধা দেওয়া হয়।

কোলিয়ারিতে দুর্ঘটনা অবশ্য নতুন নয়। সম্প্রতি খনিতে নামা ওঠার ঢুলি ছিঁড়ে আহত কয়েছিলেন বেশ কয়েকজন শ্রমিক। তারপরে মঙ্গলবার রাতের এই দুর্ঘটনার পরে খনিতে শ্রমিক নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিক্ষোভ শুরু করে শ্রমিক সংগঠনগুলি। আইএনটিইউসি প্রভাবিত কোলিয়ারি মজদুর ইউনিয়নের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহম্মদ নাসিরুদ্দিন বলেন, “গণেশবাবু কর্মরত অবস্থায় মারা গিয়েছেন। ইসিএলে মৃতের আত্মীয়কে চাকরি দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। আমরা খনি কর্তৃপক্ষের কাজে সেই দাবিই করেছি।” একই দাবি করেছেন আইএনটিটিইউসি অনুমোদিত কয়লা খাদান শ্রমিক কংগ্রেস নেতা দুর্গাদাস মজুমদার। ইসিএলের এক আধিকারিক জানান, মৃত খনিকর্মীর ছেলে নেই, তবে মেয়ে রয়েছে। শ্রমিক সংগঠনগুলি মেয়ের স্বামীর জন্য চাকরির দাবি তুলেছে। এ ক্ষেত্রে ইসিএলের আইনে কি ব্যবস্থা রয়েছে সেটা খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

accident mine laudoha
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE