Advertisement
E-Paper

নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ করায় পুলিশি হেনস্থা, দাবি

প্রথমে স্থানীয় থানা অভিযোগ নিতে চায়নি বলে অভিযোগ করেছিলেন। এ বার পুলিশের বিরুদ্ধে তদন্তের নামে হেনস্থা এবং অভিযোগ তুলে নিতে চাপ দেওয়া হচ্ছে বলে দাবি করলেন তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগকারিণীর। বৃহস্পতিবার দুর্গাপুরের কোকওভেন থানার ভূমিকা নিয়ে ফের প্রশ্ন তুলে তাঁর দাবি, “পুলিশ অভিযুক্তের হয়ে তাঁবেদারি করছে। আমরা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানাব।”

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৪ নভেম্বর ২০১৪ ০১:১৭
অভিযুক্ত রঞ্জিত রুইদাস।

অভিযুক্ত রঞ্জিত রুইদাস।

প্রথমে স্থানীয় থানা অভিযোগ নিতে চায়নি বলে অভিযোগ করেছিলেন। এ বার পুলিশের বিরুদ্ধে তদন্তের নামে হেনস্থা এবং অভিযোগ তুলে নিতে চাপ দেওয়া হচ্ছে বলে দাবি করলেন তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগকারিণীর। বৃহস্পতিবার দুর্গাপুরের কোকওভেন থানার ভূমিকা নিয়ে ফের প্রশ্ন তুলে তাঁর দাবি, “পুলিশ অভিযুক্তের হয়ে তাঁবেদারি করছে। আমরা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানাব।”

মঙ্গলবার রাতে পারিবারিক বিবাদের জেরে পার্টি অফিসের ভিতরে নিজের আত্মীয় এক দম্পতি এবং তাঁদের ছেলেমেয়েকে মারধর-হুমকির অভিযোগ ওঠে বীরভানপুর দাসপাড়ার তৃণমূল নেতা রঞ্জিত রুইদাসের বিরুদ্ধে। কোকওভেন থানা থেকে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। তবে পুলিশ অভিযোগ নিতে চায়নি বলে দাবি করেন অভিযোগকারিণী। তিনি অভিযোগ করেন, ব্যক্তিগত স্বার্থ চরিতার্থ করতে রঞ্জিতবাবু তাঁদের কাউকে কিছু না জানিয়ে তাঁর অসুস্থ শ্বশুরকে ডিপিএল হাসপাতালে ভর্তি করেন। পার্টি অফিসে এ নিয়ে কৈফিয়ত্‌ চাইতে গেলে তাঁদের উপরে চড়াও হন রঞ্জিতবাবু ও তাঁর অনুগামীরা।

রঞ্জিতবাবু অবশ্য তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ মানতে চাননি। তিনি বলেন, “অসুস্থ ব্যক্তি আমারও আত্মীয়। তাঁকে হাসপাতালে কেন ভর্তি করেছি তার কৈফিয়ত্‌ চাইতে ওঁরা চার জন পার্টি অফিসে এসে আমাদের উপরে চড়াও হন। তখন আমাদের ছেলেরা ওঁদের ঠেলে বের করে দেয়। বেগতিক দেখে পুলিশকে খবর দিই। উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে আমার বিরুদ্ধে।”

ওই মহিলা বুধবার সন্ধ্যায় কমিশনারেটের এডিসিপি (পূর্ব) সুনীল যাদবের দফতরে লিখিত অভিযোগ করেন। এডিসিপি (পূর্ব) তদন্তের আশ্বাস দেন। মহিলা জানান, এর পরেই সন্ধ্যায় তাঁকে ও তাঁর স্বামীকে কোকওভেন থানায় ডেকে পাঠানো হয়। রাত পর্যন্ত তাঁদের থানায় বসিয়ে রেখে হেনস্থা করা হয় বলে তাঁর অভিযোগ। মহিলার দাবি, “যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাদের কাউকে ধরেনি পুলিশ। উল্টে, তদন্তের নামে থানায় ডেকে নিয়ে গিয়ে বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার জন্য আমাদের উপরে মানসিক চাপ সৃষ্টি করা হয়েছে।”

কোকওভেন থানার পুলিশ অবশ্য এমন অভিযোগ মানতে চায়নি। থানার এক আধিকারিক বলেন, “ঘটনার বিষয়ে তথ্য জোগাড়ের জন্য তাঁদের ডাকা হয়েছিল। কোনও রকম চাপ দেওয়ার প্রশ্নই নেই।” কমিশনারেটের এক আধিকারিক বলেন, “নতুন কোনও অভিযোগ আর জমা পড়েনি। আগের অভিযোগের তদন্ত চলছে।”

police harassment durgapur tmc leader ranjit ruidas
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy