রাস্তা তৈরির কাজে লাগানো হয়েছে শিশু শ্রমিকদের, দেখতে পেয়ে ব্লক অফিসে খবর দিয়েছিলেন গ্রামবাসীরা। বর্ধমানের পানাগড়ে মঙ্গলবার ১৩ জন কিশোরকে উদ্ধার করল পুলিশ। ২ নম্বর জাতীয় সড়কের বাইপাস নির্মাণে নিযুক্ত ঠিকাদার সংস্থা তাদের দিয়ে কাজ করাচ্ছিল বলে অভিযোগ। দুর্গাপুরের মহকুমাশাসক কস্তুরী সেনগুপ্ত জানান, ঘটনা নিয়ে বিডিও-র কাছে রিপোর্ট চেয়েছেন তিনি।
চার লেনের জাতীয় সড়কে পানাগড় রেলসেতু থেকে দার্জিলিং মোড় পর্যন্ত রাস্তা রয়ে গিয়েছে দু’লেনের। তাই সেখানে যানজট লেগেই থাকে। এই সমস্যা এড়াতে ওই অংশে বাইপাস গড়ার সিদ্ধান্ত নেন জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ। জমি নিয়ে দীর্ঘ টালবাহানার শেষে মাসখানেক আগে কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু এরই মধ্যে শিশুশ্রমিক দিয়ে কাজ করানোর অভিযোগ উঠল নিযুক্ত ঠিকাদার সংস্থাটির বিরুদ্ধে।
স্থানীয় বাসিন্দা গোপাল দাস, উজ্জ্বল ঘোষ, দিলীপ দাসেরা অভিযোগ করেন, এ দিন সকালে তাঁদের নজরে পড়ে, পানাগড়-মোরগ্রাম রাজ্য সড়কের কাছে যে অংশে বাইপাসের কাজ চলছে, সেখানে কয়েক জন কিশোর রাজমিস্ত্রির জোগাড়ের কাজ করছে। গোপালবাবুর কথায়, “আমরা ওই সংস্থার লোকজনের কাছে গিয়ে এর প্রতিবাদ জানাই। কিন্তু তাঁরা কর্ণপাত করেননি। তাই কাঁকসা ব্লক অফিসে জানাই।” এর পরেই পুলিশ গিয়ে কাজ বন্ধ করে। ওই কিশোরদের ব্লক অফিসে পাঠানো হয়।
পুলিশ জানায়, উদ্ধার হওয়া ১৩ জনেরই বাড়ি মুর্শিদাবাদের নানা এলাকায়। সন্ধ্যায় তাদের বাড়ি পাঠানো হয়। তার আগে ব্লক অফিসে বসে ওই কিশোরেরা জানায়, পেটের দায়ে বাড়ি ছেড়ে কাজ করতে এসেছে তারা। এক ব্যক্তির মধ্যস্থতায় এই কাজ জুটেছে। বাইপাস নির্মাণে নিযুক্ত ঠিকাদার সংস্থাটির তরফে শেখর দাসের বক্তব্য, “আমরা অন্য ঠিকাদারের মাধ্যমে শ্রমিক জোগাড় করি। ওদের আজই আনা হয়েছে। তাই কাদের কাজে পাঠানো হচ্ছে, তা আমাদের জানা ছিল না। প্রশাসনকে আমরা তদন্তে সহযোগিতা করব।”
পুলিশ জানায়, উদ্ধার হওয়া কিশোরদের বয়স ১৪ বছর বা তার আশপাশে বলে মনে করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে শিশুশ্রম আইনের কোন ধারা লঙ্ঘিত হয়েছে, তা দেখা হচ্ছে। দুর্গাপুরের মহকুমাশাসক বলেন, “ব্লক অফিস থেকে গোটা ঘটনার রিপোর্ট পেলে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy