পানীয় জলের সঙ্কট আসানসোল শিল্পাঞ্চলের দীর্ঘদিনের সমস্যা। শনিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় জানান, জল সঙ্কট মোকাবিলায় তাঁর নানা উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি। কেন্দ্রীয় জলসম্পদ মন্ত্রকের সচিবের সঙ্গে এ বিষয়ে তাঁর আলোচনা হয়েছে বলে সাংসদ জানান। তিনি বলেন, “কেন্দ্র বর্ধমান জেলার একটি মানচিত্র চেয়েছে। ইতিমধ্যেই মন্ত্রককে তা দেওয়া হয়েছে।” কেন্দ্র থেকে বিশেষজ্ঞদের একটি দল সম্প্রতি এলাকা ঘুরে গিয়েছেন বলেও জানান তিনি।
তবে বাবুলের অভিযোগ, জলের পাইপ ফাটিয়ে অবৈধ সংযোগ নেওয়ার প্রবণতা রয়েছে শিল্পাঞ্চলে। এর ফলে আসানসোল, কুলটির বিস্তীর্ণ এলাকায় জলের সমস্যা থেকেই যাচ্ছে। বাসিন্দাদের কাছে এই প্রবণতা অবিলম্বে বন্ধ করার অনুরোধ করেন সাংসদ। শিল্পাঞ্চলে এমনিতেই জলের জোগান কম। গ্রীষ্মে দামোদরের জল আরও কমে যাওয়ায় ভরসা করতে হয় ডিভিসি এবং পুরসভার জলের উপর। কিন্তু সমস্ত এলাকায় নিয়মিত জল সরবারহ করার মতো জলের জোগান থাকে না পুরসভা বা ডিভিসির কাছেও। বাবুল জলের জোগানের জন্য বৃষ্টির জল সংরক্ষণ করার কথা বলেন।
বাসিন্দারা জানান, শিল্পাঞ্চলে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন এলাকায় জল প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে, কিন্তু রূপায়িত হয়নি। আসানসোলের ১০০ কোটি টাকার জল প্রকল্পের কাজও শেষ হয়নি। আটকে রয়েছে কুলটির ১৩০ কোটির প্রকল্পও। কাজ দ্রুত শেষ করার ব্যাপারে উদ্যোগী হবেন বলে আশ্বাস দেন সাংসদ।
জলের সঙ্কট মেটাতে বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংস্থার কর্তাদের সঙ্গেও কথা বলেছেন, জানান বাবুল। ইসিএল-র সিএমডি রাকেশ সিংহর সঙ্গে প্রায় ৪৫ মিনিটের আলোচনায় বাবুল ইসিএলকে খনি সংলগ্ন গ্রাম ও শহরতলিতে জল সরবারহ করার অনুরোধ জানান। প্রয়োজনে জল শোধনাগার নির্মাণের কথাও তিনি বলেন। সিএমডির কারিগরি সচিব নীলাদ্রি রায় জানান, সাংসদের এই প্রস্তাবগুলি খতিয়ে দেখা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন সংস্থার সিএমডি।
শনিবার ইসিএল-র আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনার পর কুলটি ও বার্নপুরে সভা করেন বাবুল। বার্নপুরের বৃষ্টি-ভেজা সভায় গানও ধরেন গায়ক সাংসদ। বিজেপি পার্টি অফিস ভাঙচুরের প্রসঙ্গ টেনে কর্মীদের সংযত থাকতে বলেন। এ দিনের সভায় সাংসদের উপস্থিতিতে আসানসোল পুরসভার ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের বেশ কয়েকজন বিজেপিতে যোগ দেন।