প্রচার-পথনাটিকা থেকে শপিং মলে ছাড়- ভোটদানের হার বাড়াতে জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে এ ধরণের নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। সারা রাজ্যের পাশাপাশি জেলাতেও রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের নির্ভয়ে ভোট দেওয়ার আর্জি প্রচারিত হয়েছিল। আর তার ফলেই গত লোকসভায় জেলরা তিন আসনের প্রদত্ত ভোটের পরিমাণ থেকে এ বছরের ভোটের হার বেশি। এমনকী আসানসোল কেন্দ্র যেখানে গত বার জেলার সবচেয়ে কম ভোট পড়েছিল সেখানেও এ বার ৮০ শতাংশ ভোট পড়বে বলে জেলা প্রশাসনের আশা।
গত লোকসভায় জেলার তিন আসনে ভোট পড়েছিল ৮১.৫৯। এ বার আসানসোলকে বাদ রেখেই সেই পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৮৪.৭৭ এ। বর্ধমানের জেলাশাসক সৌমিত্র মোহন বলেন, “গত লোকসভার তুলনায় জেলার দুই আসনে অবশ্যই ভোটের হার বেড়েছে। গত বিধানসভাতেও জেলার বুকে প্রচুর ভোট পড়েছিল। শতকরা ৮৫.৯১ ভাগ। তবে বিধানসভা ভোটে লোকসভার চেয়ে বেশি ভোট পড়ে। তাই বলা যায়, এ বারের লোকসভা আসনে বেশ ভাল ভোট পড়েছে।”
তাহলে কী প্রচারেই ভোট টানল এ বার? জেলা প্রশাসনেরই আর একটি সূত্রের অবশ্য দাবি, যেখান শতকরা ৮০ ভাগের চেয়ে বেশি ভোট পড়ে সেখানে যতই চেষ্টা করা হোক, ভোট চট করে বাড়ানো সম্ভব হয় না। এই ভোটে হার বাড়ানো সম্ভব হবে আসানসোলের সাতটি বিধানসভা আসনে। গত লোকসভায় ওই সাতটি আসনের মধ্যে পাণ্ডবেশ্বরে শতকরা ৭৩.৮০, রানিগঞ্জে ৭৩.৭০, আসানসোল দক্ষিণে ৭২.৯৭, আসানসোল উত্তরে ৬৯.৬৬, কুলটিতে ৬৪.৬৬ ও বারাবনিতে শতকরা ৭৩.০৭ হারে ভোট পড়েছিল। এ বার সেই ভোট বাড়বে বলেই প্রশাসনের আশা। জেলা নির্বাচন দফতরের এক আধিকারিকের কথায়, “ভোট বাড়ানোর প্রচারে আমরা এ বার প্রচুর পরিশ্রম করেছি। পরিশ্রম কতটা ফল দিয়েছে, তা প্রমাণ হবে আগামী ৭ মে, আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের নির্বাচনের দিন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy