Advertisement
E-Paper

বাবুলকে সামনে পেয়েই নানা আর্জি ব্যবসায়ীদের

প্রচারে নেমেই তিনি বুঝেছিলেন, এলাকার সব থেকে বড় সমস্যা জল। জেতার পরে তাই এলাকায় এসেই তাঁর কথায় ঘুরেফিরে এল সেই জলসমস্যার কথা। সোমবার নিজের লোকসভা কেন্দ্রে পা দিয়ে দুপুরে জামুড়িয়ার সত্তর গ্রামে দলের ঘরছাড়া কর্মীকে বাড়ি ফেরাতে যান বাবুল। দুপুরে আসানসোলে সাংবাদিকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ সেরে সন্ধ্যায় পৌঁছন তাঁর জন্য রানিগঞ্জে বণিকসভার আয়োজন করা সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ জুন ২০১৪ ০২:০৬
জামুড়িয়ার সত্তর গ্রামে বাবুল সুপ্রিয়। ছবি: ওমপ্রকাশ সিংহ।

জামুড়িয়ার সত্তর গ্রামে বাবুল সুপ্রিয়। ছবি: ওমপ্রকাশ সিংহ।

প্রচারে নেমেই তিনি বুঝেছিলেন, এলাকার সব থেকে বড় সমস্যা জল। জেতার পরে তাই এলাকায় এসেই তাঁর কথায় ঘুরেফিরে এল সেই জলসমস্যার কথা।

সোমবার নিজের লোকসভা কেন্দ্রে পা দিয়ে দুপুরে জামুড়িয়ার সত্তর গ্রামে দলের ঘরছাড়া কর্মীকে বাড়ি ফেরাতে যান বাবুল। দুপুরে আসানসোলে সাংবাদিকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ সেরে সন্ধ্যায় পৌঁছন তাঁর জন্য রানিগঞ্জে বণিকসভার আয়োজন করা সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে।

এ দিন বণিকসভা ছাড়াও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজক ছিল রানিগঞ্জ সিটিজেন্স ফোরাম। রানিগঞ্জ বণিক সভাগৃহে এই অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন আসানসোল, অন্ডাল, পাণ্ডবেশ্বর, উখড়া, হরিপুর ও কাজোড়ার বণিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা। তাঁরা জলসমস্যার কথা তুললে বাবুলের বার্তা, “এটা জলসা করার সময় নয় বরং আসানসোল এলাকার জল-সমস্যা মেটানো তার চেয়ে অনেক জরুরি।” এ ব্যাপারে জল পরিশোধনের প্ল্যান্ট গড়ে ওই সমাধান কী করে সম্ভব তা দেখতে একটি কমিটও গড়ে দিয়েছেন তিনি।

বাবুলকে সামনে পেয়ে জল ছাড়াও এই খনি-শিল্পাঞ্চলের নানা সমস্যার কথা জানান ব্যবসায়ীরা। রানিগঞ্জ-বাঁকুড়ার মধ্যে রেল যোগাযোগ, এইমসের ধাঁচে হাসপাতাল, আসানসোল-নয়া দিল্লি সুপার ফাস্ট ট্রেন, আসানসোলে হাওড়া-নয়া দিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেসের স্টপের দাবি জানানো হয়। এলাকায় হিন্দি মাধ্যম বালিকা বিদ্যালয় তৈরি করা খুব প্রয়োজন বলেও জানানো হয়। এ ছাড়া, রানিসায়র মোড় থেকে গির্জাপাড়া পর্যন্ত বাইপাসের সংস্কার এবং ওই রাস্তায় থাকা রেললাইনের উপরে উড়ালপুল তৈরি, মঙ্গলপুর থেকে গির্জাপাড়া হয়ে মেজিয়া পর্যন্ত রাস্তা তৈরির আবেদনও জানান বণিক সংগঠনের সদস্যেরা। স্থানীয় দাবি-দাওয়া দিল্লি পৌঁছে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন বাবুল।

বণিকসভার সংবর্ধনার আগে এ দিন দুপুরে আসানসোলে এই খনি এলাকার ধসের সমস্যা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে বাবুল জানান, এই সমস্যার কথা তিনি জানেন। তিনি বলেন, “আমাকে এ বিষয়ে আরও খোঁজখবর নিতে হবে। বিষয়টি অবশ্যই গুরুত্ব দিয়ে দেখব।” এ দিন হিন্দুস্তান কেব্লস কারখানার বন্ধ থাকা রূপনারায়ণপুর ইউনিটের অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যেরা বাবুলের সঙ্গে দেখা করেন। কারখানার পুনরুজ্জীবনের প্রক্রিয়ার বিষয়ে তাঁরা বাবুলকে উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানান। বাবুল বলেন, “এ নিয়ে আমি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলব।”

babul supriyo raniganj asansol
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy