বর্ধমান বার অ্যাসোসিয়েশনের নতুন সম্পাদক নির্বাচিত হলেন জেলার পরিচিত আইনজীবী তথা তৃণমূল নেতা সদন তা। নির্বাচনটি হয় শনিবার। এ বার সম্পাদক পদের জন্য ত্রিমুখী লড়াই হয়েছিল। অন্য দুই প্রার্থী উদয় মুখোপাধ্যায় ও প্রবীর সাহানার হয়ে প্রচার করেছিলেন জেলা তৃণমূলের দুই আইনজীবী নেতা।
এক পদে একাধিক প্রার্থী থাকার জন্য শনিবার সকাল থেকেই বর্ধমান আদালত চত্বরে ছিল চাপা উত্তেজনা। মোতায়েন ছিল পুলিশ। যদিও বার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যদের দাবি, এর আগে কখনও বার অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচনের জন্য আদালত চত্বরে পুলিশ মোতায়েন করতে হয়নি। সম্পাদক পদের গণনার শুরু থেকেই এগিয়ে ছিলেন সদনবাবু। চূড়ান্ত ফল প্রকাশের পর দেখা যায় তিনি ৫৩১ জন ভোটদাতার মধ্যে ৩২০টি ভোট পেয়েছেন তিনি। উদয়বাবু পেয়েছেন ১২১টি ও প্রবীরবাবু পেয়েছেন ৮০টি ভোট। জয়ের খবর পাওয়ার পর সদনবাবুর সমর্থকেরা আদালত চত্বরের মধ্যেই বাজি ফাটিয়ে আনন্দ করতে থাকেন।
সম্পাদক ছাড়াও এ বার ভাল লড়াই হয়েছে সহ সম্পাদক পদে। চার জন সহ সম্পাদকের জন্য লড়াই করেছিলেন ১৪ জন প্রার্থী। তাঁদের মধ্যে নির্বাচিত হয়েছেন সঞ্জয় ঘোষ, হরিদাস মুখোপাধ্যায়, বিশ্বজিত্ দাস ও মোল্লা মহতাবউদ্দিন। সঞ্জয়বাবু পেয়েছেন ২৭৩টি ভোট, হরিদাসবাবু পেয়েছেন ১৬৯টি ভোট, বিশ্বজিত্বাবু পেয়েছেন ১৫৪টি ভোট ও মোল্লা মহতাবউদ্দিন পেয়েছেন ১৫২টি ভোট। চর্তুথ প্রার্থীর থেকে মাত্র ২ ও ৫ ভোটে পিছিয়ে থেকে পঞ্চম ও ষষ্ঠ স্থান পেয়েছেন চন্দন আইচ ও সৌম্যজিত্ চৌধুরী। এর মধ্যে সঞ্জয়বাবু ও হরিদাসবাবু গত বছরও ওই পদে জিতেছিলেন। অন্য দিকে, বিশ্বজিতবাবু এই নিয়ে ৬ বার সহ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হলেন। অন্যান্য পদগুলিতেও নির্বাচন হয়। বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন প্রভাসরঞ্জন রায়। সহ সভাপতি ও হিসাবরক্ষক পদে নির্বাচিত হয়েছেন যথাক্রমে আলি ইমাম শাহ ও কল্যাণ মাজি।
নির্বাচনে জয়ী হয়ে বর্ধমান বার অ্যাসোসিয়েশনের নতুন সম্পাদক সদনবাবু বলেন, “আমার কাছে সবার আগে আইনজীবীদের স্বার্থ। রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে তাঁদের স্বাচ্ছন্দ্য ও সমস্যা সমাধানের দিকে নজর দেব।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy