মনোনয়নপত্র তোলা নিয়ে টিএমসিপি-র দু’দলের মধ্যে হাতাহাতি বাধল বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে। তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই পুলিশ বিষয়টি সামাল দেয়। গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে মুখ খুলতে চাননি সংগঠনের কোনও সদস্যও।
সোমবার সকাল থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলাপবাগ ক্যাম্পাসে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন ছিল। মনোনয়ন তোলা শুরু হতে দেখা যায় টিএমসিপি-র রাজ্য সভাপতি অশোক রুদ্রের দেওয়া তালিকা অনুসারেই তা তোলা হচ্ছে। পুরো বিষয়টি পরিচালনা করছেন শহর টিএমসিপি-র সভাপতি রাসবিহারী হালদার। এরমধ্যেই কয়েকজন টিএমসিপি সমর্থক অনুপস্থিত প্রার্থীদের বদলে নতুন নাম ঢোকাতে চান। কিন্তু বাকিরা তা মানতে না চাওয়ায় দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়।
তবে এসএফআই বা ডিএসও-র কোনও প্রার্থীকে মনোনয়ন তুলতে দেখা যায়নি এ দিন। এসএফআইয়ের জেলা সম্পাদক দীপঙ্কর দে-র দাবি, “গোলাপবাগের তিন তলায় কলা বিভাগের ডিনের অফিস থেকে মনোনয়নের ফর্ম দেওয়া হচ্ছিল। বাইরে ছিল টিএমসিপির গুণ্ডাবাহিনী। যে পরিবেশ তৈরি হয়েছিল, তাতে আমরা ভেতরে ঢোকার ঝুঁকি নিতে চাইনি।” রাসবিহারীর অবশ্য দাবি, “আমি সারাদিন ক্যাম্পাসে ছিলাম। সমস্ত ছাত্র সংগঠনকে বলেছিলাম মনোনয়ন পত্র তুলতে। কিন্তু এসএফআই বা অন্য কোন সংগঠনের কেউ আসেনি।”
গত বার ছাত্র সংসদের ১৮৬টি আসন এ বার কমে দাঁড়িয়েছে ১৭৭টিতে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচনী কমিটির আহ্বায়ক কল্যাণ মুখোপাধ্যায় বলেন, “বিকেলের অতিরিক্ত আসনগুলি উঠে যাওয়ায় ওই সংখ্যা কমেছে।” ১৭৭টির মধ্যে ১৭২টিতে মনোনয়ন তুলেছে টিএমসিপি। ছাত্র সংসদের বিদায়ী সম্পাদক দীপক পাত্র বলেন, “পদার্থবিদ্যা-সহ কয়েকটি বিভাগে পরীক্ষা চলছে। তারা মনোনয়ন তুলতে এসেছিল। কিন্তু সময় পার হয়ে যাওয়ায় মনোনয়ন তোলা যায়নি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy