বিশেষ নিবিড় সংশোধনী (এসআইআর) সংক্রান্ত শুনানি প্রক্রিয়ার তৃতীয় দিনে সরাসরি সংঘাতে শাসকদল তৃণমূল বনাম নির্বাচন কমিশন। দুই তরফই নিজেদের অবস্থানে অনড়। তৃণমূলের দাবি, শুনানিকেন্দ্রে বিএলএ-২ অর্থাৎ, বুথস্তরের এজেন্টদের থাকতে দিতেই হবে। কমিশন পত্রপাঠ তা খারিজ করে দিয়েছে। ওই নিয়ে সোমবার দিনভর রাজ্যের নানা জায়গায় শুনানিকেন্দ্রে শোরগোল। কোথাও স্থানীয় তৃণমূল বিধায়কের চাপে বন্ধ হয়ে গেল শুনানি। কোথাও আবার শেষ দেখে ছাড়ার হুঁশিয়ারি দিলেন শাসকদলের প্রতিনিধিরা। দুই তরফই ঝুঁকতে নারাজ। দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাটের এসআইআর ঘটিত অসন্তোষ আছড়ে পড়ল বিশেষ নির্বাচনী পর্যবেক্ষককে ঘিরে। এই পরিস্থিতিতেই চতুর্থ দিনের শুনানির প্রস্তুতি শুরু হচ্ছে জেলায় জেলায়।
রবিবার, এসআইআর সংক্রান্ত শুনানির দ্বিতীয় দিনে নেতাদের নিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠক করেছিলেন তৃণমূলের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই দলের সূত্রে খবর, সেখানেই অভিষেক নির্দেশ দেন, প্রত্যেক শুনানিকেন্দ্রে এজেন্টদের উপস্থিত থাকতে হবে। তৃণমূলের সর্বময় নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশই তিনি সকলের জ্ঞাতার্থে জানিয়ে দেন। জানা গিয়েছে, ওই বৈঠকে অভিষেক নির্দেশ দেন, বুথে বুথে এবং প্রতিটি এসআইআর শুনানিকেন্দ্রের সামনে তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের উপস্থিত থাকতে হবে এবং শুনানিতে অংশ নিতে আসা মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে তাঁদের। সহায়তা শিবিরগুলি থেকে ভোটারদের প্রয়োজনীয় তথ্য দেওয়া হবে। ফর্ম সংক্রান্ত বিভ্রান্তি দূর করাই লক্ষ্য। যদি কোনও প্রশাসনিক সমস্যার মুখে পড়তে হয়, সে ক্ষেত্রেও দলীয় কর্মীরা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবেন। শুনানির সময় কোনও ভোটার যদি সমস্যায় পড়েন, তা হলে তৎক্ষণাৎ ওই শিবির থেকেই তাঁর পাশে দাঁড়ানোর ব্যবস্থা করা হবে।
সোমবার সকাল হতেই জেলায় জেলায় সেই নির্দেশের ‘প্রত্যক্ষ প্রভাব’ পড়তে শুরু করে। এ ক্ষেত্রে এগিয়ে হুগলির চুঁচুড়া। সেখানকার বিধায়ক অসিত মজুমদার চুঁচুড়া-মগড়া ব্লক অফিসে গিয়ে শুনানি বন্ধ করে দিয়েছিলেন। বিএলএ-দের কেন শুনানিতে থাকতে দেওয়া হচ্ছে না, কমিশনের তরফে তার লিখিত ব্যাখ্যা দাবি করেন প্রবীণ তৃণমূল বিধায়ক। ঘণ্টা দুই শুনানিপ্রক্রিয়া বন্ধ ছিল। পরে বিধায়ক অসিত জানান, তাঁদের শীর্ষ নেতৃত্ব মমতা এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যে ভাবে নির্দেশ দেবেন, তাঁরা সেই অনুযায়ী কাজ করবেন। বিধায়কের যুক্তি, ‘‘যাকে-তাকে শুনানিতে ডেকে কমিশন হেনস্থা করছে। বয়স্ক এবং অসুস্থদের লাইনে দাঁড়াতে হচ্ছে। এই দুর্ভোগ কমানোর চেষ্টা করছি আমরা।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘এজেন্টরা কেন শুনানিতে থাকবেন না, তার কোনও আইন রয়েছে কি না, দেখতে চাই।’’ কিন্তু শুনানিপ্রক্রিয়া আটকে থাকায় লাইনে দাঁড়ানো মানুষজন তো ভোগান্তির শিকার হচ্ছিলেন। অসিত জানান, সেই কারণেই সোমবারের মতো অবস্থান তুলে নিলেন তাঁরা। কিন্তু বিএলএ-২-কে শুনানিকেন্দ্রে ঢুকতে না দিলে আবার একই পথ নেবেন।
আরও পড়ুন:
এর ঘণ্টাকয়েকের মধ্যে হুগলিরই আর এক প্রবীণ তৃণমূল বিধায়ক একই পন্থায় এসআইআরের শুনানি বন্ধ করে দেন। তিনি মগরাহাটের বিধায়ক অসীমা পাত্র। তাঁর স্পষ্ট কথা, ‘‘বিএলএ না থাকলে এসআইআরের শুনানিও হবে না।’’ অসীমার ব্যাখ্যা অসিতের মতোই। তিনি জানান, পরিকল্পনাহীন এবং ইচ্ছামতো কাজ করছে নির্বাচন কমিশন। বিএলএ-২ যে শুনানিকেন্দ্রে থাকতে পারবেন না, এমন নির্দেশাবলি দেখাতে হবে কমিশনকে। অসীমা তথা তৃণমূলের কথা হল, বিএলএ তো বিএলও-দের সঙ্গে বাড়ি বাড়ি গিয়ে সমীক্ষার কাজে সহায়তা করেছেন। তা হলে শুনানিকেন্দ্রে তাঁদের উপস্থিত থাকতে বাধা দেওয়া হচ্ছে কেন? অসীমা এ-ও জানান, বয়স্ক ভোটারদের জন্য বাড়ি বাড়ি গিয়ে শুনানি করতে হবে প্রশাসনকে। গত দু’দিন রাজ্যের নানা জায়গায় দেখা গিয়েছে কী কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছেন তাঁরা। ঠান্ডার মধ্যে অশক্ত, অসুস্থ শরীর নিয়ে শুনানিকেন্দ্রে যাচ্ছেন। সেখানে দীর্ঘ ক্ষণ বসে থাকছেন। এই পরিস্থিতি কাম্য নয়। পাশাপাশি, তৃণমূলের দাবি, পরিযায়ী শ্রমিকদের নথিপত্র তাঁর পরিবারের কেউ দিলেও তা গ্রহণ করতে হবে কমিশনকে। তৃণমূল বিধায়ক বলেন, ‘‘পরিযায়ী শ্রমিকেরা বিপদে। বাড়ির লোককে কেন শুনানিতে অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না! দিন আনা দিন খাওয়া মানুষ তো ওঁরা। ওঁদের যাতায়াতের খরচ কে দেবে? কমিশন বহন করবে? ওঁদের বাড়ির লোক যে ডকুমেন্ট দেখাবেন, সেটাই নিতে হবে।’’
ভোট দিতে যেতে পারলে শুনানিতেও যেতে হবে
শিলিগুড়িতে এসআইআর শুনানিকেন্দ্রের সামনে অপেক্ষারত বয়স্ককে দেখা গিয়েছে ‘ইনহেলার’ নিয়ে বসে। ঠান্ডায় জুবুথুবু দশা। তাঁর মতো এমন প্রচুর বয়স্ক মানুষকে হাজিরা দিতে হচ্ছে শুনানিকেন্দ্রে। যা নিয়ে কমিশনের বিরুদ্ধে তোপ দাগছে তৃণমূল। কিন্তু এই ‘হেনস্থা’র তত্ত্ব উড়িয়ে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। তাঁর যুক্তি, ‘‘ভোট দিতে ভোটকেন্দ্রে কী ভাবে আসবেন? তখন অসুবিধা হবে না? যাঁদের ভোট দেওয়ার ইচ্ছা নেই, যেমন ধরুন আমার বাবা। তিনি অসুস্থ মানুষ। তিনি ভোট দিতে যেতে পারেন না। তাই এসআইআর নিয়ে মাথা ঘামান না। আপনি যদি ভোট দিতে যেতে পারেন, তবে এসআইআর করাতে যেতে পারবেন না কেন, আমি এটা বুঝতে পারছি না।” এই বক্তব্যের নিন্দা করেছে তৃণমূল। তাদের কটাক্ষ, কেউ হুইলচেয়ারে বসে, কেউ অ্যাম্বুল্যান্সে শুয়ে শুনানিতে যাচ্ছেন। আর সেই দুর্দশাগ্রস্ত মানুষদের অবস্থা দেখেও কটূক্তি করছেন মন্ত্রী।
কঠোর কমিশন
নানা জায়গায় বিক্ষোভ, প্রতিরোধের মধ্যে কমিশন জানিয়েছে, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের বুথ স্তরের এজেন্টদের (বিএলএ ২) কোনও ভাবেই এসআইআর-এর শুনানিকেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া যাবে না। অসিতের কাণ্ডের প্রেক্ষিতে জেলাশাসকদের সেই নির্দেশ আরও একবার ‘মনে করিয়ে দিয়েছে’ নির্বাচন কমিশন। এজেন্টদের প্রবেশাধিকার নিয়ে তৃণমূল যে চাপ সৃষ্টির কৌশল নিয়েছে, তার সামনে নতিস্বীকার না-করার বার্তা দেওয়া হয়েছে। কমিশন জানিয়েছে, শুনানিকেন্দ্রে কোনও দলের এজেন্ট ঢুকলে সংশ্লিষ্ট আধিকারিকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে। আবার, হুগলির মতো শুনানির প্রক্রিয়া কোথাও আটকে রাখাও যাবে না। জেলাশাসকদেরই তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, প্রয়োজনে জেলাশাসককে ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকতে হবে এবং বিষয়টি পর্যালোচনা করতে হবে। বিএলএ-রা যাতে শুনানিকেন্দ্রে না ঢোকেন এবং শুনানি যেন বন্ধ না-হয়— দু’টি বিষয় নিশ্চিত করতে হবে জেলাশাসককে।
একটি দাবি মানল কমিশন
সোমবারই একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে সিইও দফতর। তাতে জানানো হয়েছে, তিন ধরনের ভোটার যদি অনুরোধ করেন, তাঁদের শুনানিতে ডাকা হবে না। সেখানকার বিএলও, ইআরও এবং এইআরও-দের বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে। তাঁরা কারা? কমিশন বলছে, ৮৫ বছর বা তার বেশি বয়সি ভোটারদের শুনানিকেন্দ্রে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। অসুস্থ এবং বিশেষ ভাবে সক্ষমদেরও শুনানিকেন্দ্রে যেতে হবে না। এই তিন ধরনের কোনও ভোটার যদি হাজিরার নোটিস পান, তা হলে তাঁরা চাইলে ইআরও, বিএলও বা এইআরও-কে জানাতে পারবেন। পরে সংশ্লিষ্ট ভোটারের বাড়িতে গিয়ে শুনানির কাজ সারা হবে।
কমিশনের নির্দেশে বিভ্রান্তি
সিইও দফতর অসুস্থতার কথা উল্লেখ করলেও কী ধরনের অসুস্থতাকে বিবেচনা করা হবে, তার কোনও ব্যাখ্যা দেয়নি। অর্থাৎ, কেউ কতটা অসুস্থ হলে তাঁকে শুনানিকেন্দ্রে যেতে হবে না, সে বিষয়ে কোনও আলোকপাত করা হয়নি। বয়স্ক ভোটারদের কথা বিবেচনা করে আগেই নির্বাচন কমিশনকে একটি চিঠি পাঠিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক। বর্তমানে ৮৫ বছর বা তার বেশি বয়সি ভোটারদের বাড়ি গিয়েই ভোট নিয়ে আসা হয়। সে ক্ষেত্রে শুনানি পর্বেও যাতে ৮৫ বছর বা তার বেশি বয়সি ভোটারদের বাড়ি গিয়ে শুনানি হয়, তিনি সেই প্রস্তাব দেন কমিশনকে। তাতে সম্মতি দেয় কমিশন। একই সঙ্গে যাঁরা অসুস্থ, শুনানিকেন্দ্রে যাওয়ার অবস্থায় নেই, এমন ভোটারদের বিষয়েও ক্ষেত্রবিশেষে বিবেচনা করে দেখার কথা ছিল।
বহুতলের বাসিন্দাদের জন্য পৃথক ব্যবস্থা
রাজ্যের বহুতল আবাসনগুলিতে পৃথক ভোটকেন্দ্র তৈরি করা নিয়ে জেলাশাসক তথা জেলা নির্বাচনী আধিকারিক (ডিইও)-দের সঙ্গে সরাসরি বৈঠকে বসার সিদ্ধান্ত নিল নির্বাচন কমিশন। কমিশন সূত্রে খবর, ডিইও-দের সঙ্গে বৈঠক করতে কলকাতায় আসছেন ডেপুটি কমিশনার জ্ঞানেশ ভারতী। বৈঠক হওয়ার কথা মঙ্গলবারই। কলকাতা, উত্তর ও দক্ষিণ, উত্তর ২৪ পরগনা এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা নির্বাচনী আধিকারিক (ডিইও)-দের নিয়ে বৈঠক হওয়ার কথা। এ জন্য মঙ্গলবার দিল্লি থেকে কলকাতায় আসছেন ডেপুটি কমিশনার জ্ঞানেশ। বৈঠক হবে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও) মনোজকুমার আগরওয়ালের দফতরে। এর আগে বহুতলে ভোটগ্রহণ কেন্দ্র তৈরি করা নিয়ে জেলাশাসকদের সময় বেঁধে দিয়েছিল কমিশন। নতুন ভোটগ্রহণ কেন্দ্র তৈরিতে কেন মাত্র দু’টি আবেদন জমা পড়ল, সেই প্রশ্নও উঠেছিল। কমিশন জানিয়ে দেয়, নতুন ভোটগ্রহণ কেন্দ্র তৈরি করা নিয়ে ডিইও-দের উদাসীন মনোভাব রয়েছে। এই কাজে তাঁদের সমীক্ষার অভাব রয়েছে বলেও জানায় কমিশন। রাজ্যের সিইও-কে চিঠি পাঠিয়ে বলা হয়, ডিইও-দের নতুন করে সমীক্ষা করে আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রস্তাবিত বুথের তালিকা জমা দিতে হবে। অন্যথায় কড়া পদক্ষেপের হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়। বুধবার সেই সময়সীমা শেষ হচ্ছে। তার আগেই চার ডিআরও-কে নিয়ে বৈঠকে বসবেন নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধি।
কমিশনের পর্যবেক্ষকের গাড়িতে হামলা
এসআইআরের শুনানিপর্বে প্রতি দিনই ‘নো ম্যাপিং’ ভোটারদের ডেকে তথ্য ও নথি সংগ্রহ করছে কমিশন। তবে অভিযোগ উঠছে, শুনানিপর্বে অনেককে ঝক্কি সামলাতে হচ্ছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। সেই ক্ষোভই আছড়ে পড়ল দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাট সিরাকল হাই স্কুলে এসআইআরের শুনানিকেন্দ্রে! ওই কেন্দ্রে শুনানির কাজ পর্যবেক্ষণে গিয়েছিলেন কমিশনের বিশেষ পর্যবেক্ষক এস মুরগান। তাঁর গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখালেন মহিলা থেকে পুরুষেরা। তাঁদের অভিযোগ, বাড়িতে বাড়িতে না-গিয়ে স্কুলে বসে এসআইআরের কাজ করা হচ্ছে। ডেকে পাঠানো হচ্ছে গ্রামবাসীদের। বহু ক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে বয়স্কদের। কমিশন বিনা কারণে সাধারণ মানুষকে হেনস্থা করছে। একই সঙ্গে উঠেছে ১০০ দিনের কাজের বকেয়া টাকা দেওয়ার দাবিও ওঠে সেখানে। তাঁদের দাবি, কেন্দ্রীয় সরকার ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্ধ করে দিয়েছে। অথচ এসআইআরের নামে হয়রানি করা হচ্ছে।
এবং নিরাপত্তা
কমিশন সূত্রে খবর, রাজ্য পুলিশের ডিজি এবং কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে শুনানিকেন্দ্রে উপযুক্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে। শুনানিকেন্দ্রে রাজনৈতিক দলের বিএলএ-দের প্রবেশ নিয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে সোমবার। অন্য রাজ্যের মতো এখানেও বিএলএ-দের প্রবেশে কোনও অনুমতি নেই। শুনানিতে কেউ বাধা দিলে ইআরও এবং এইআরও পদক্ষেপ করবেন। কমিশন সূত্রে আরও জানা যাচ্ছে, শুনানিতে বাধা দেওয়ার ঘটনায় সংশ্লিষ্ট এলাকার ডিইও পদক্ষেপ করবেন। তিনিই রিপোর্ট দেবেন।