Advertisement
E-Paper

রাস্তা সংস্কারের কাজে বাধা দেওয়ায় অভিযুক্ত তৃণমূল

নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে রাস্তা সংস্কার করা হচ্ছেএমন দাবি তুলে দলবল নিয়ে রাস্তার কাজ বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল স্থানীয় তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার দাঁইহাটের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বিশালাক্ষী পাড়ার ঘটনা। কংগ্রেস পরিচালিত পুরসভার অবশ্য দাবি, দাঁইহাটের উন্নয়নের কাজে বাধা দিচ্ছে তৃণমূল।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২০ অগস্ট ২০১৪ ০২:২৫
পড়ে রয়েছে সংস্কারের জিনিস। নিজস্ব চিত্র।

পড়ে রয়েছে সংস্কারের জিনিস। নিজস্ব চিত্র।

নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে রাস্তা সংস্কার করা হচ্ছেএমন দাবি তুলে দলবল নিয়ে রাস্তার কাজ বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল স্থানীয় তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার দাঁইহাটের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বিশালাক্ষী পাড়ার ঘটনা। কংগ্রেস পরিচালিত পুরসভার অবশ্য দাবি, দাঁইহাটের উন্নয়নের কাজে বাধা দিচ্ছে তৃণমূল।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ওয়ার্ডে কংক্রিটের রাস্তা সংস্কারের কাজ করছিলেন পুরসভা নিযুক্ত ঠিকাদার। অভিযোগ, বেশ কিছুটা কাজ হয়ে যাওয়ার পরে তৃণমূল নেতা সুমন দাস ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রথমে ঠিকাদারের কাছে ‘ওয়ার্ক অর্ডার’ দেখতে চান। পরে রাস্তা ভাল থাকা সত্ত্বেও পুরসভা কী উদ্দেশে রাস্তা সংস্কার করছে, সেই প্রশ্ন তুলে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। ঠিকাদার ওই নেতাকে বারবার অনুরোধ করেন, রাস্তা সংস্কারের জন্য মালমশলা মাখানো হয়ে গিয়েছে, এ অবস্থায় কাজ বন্ধ হয়ে গেলে লোকসান হয়ে যাবে। কিন্তু তবে তৃণমূল নেতা সুমন দাস সাফ জানিয়ে দেন, কোনও মতেই তাঁরা এই রাস্তা সংস্কারের কাজ করতে দেবেন না। রাস্তার কাজ বন্ধ করে দেওয়ার পরে তৃণমূলের তরফে থেকে এলাকার বেশ কয়েকজনের সই সম্বলিত একটি চিঠি দাঁইহাট পুরসভার নির্বাহী আধিকারিককে দেওয়া হয়। চিঠির প্রতিলিপি দেওয়া হয়েছে দাঁইহাটের পুরপ্রধান, এসডিও (কাটোয়া), ও কাটোয়ার ওসিকেও। তাঁদের অভিযোগ, ভাল রাস্তার উপর নতুন করে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে রাস্তার সংস্কার করা হচ্ছে। আর কেনই বা হঠাৎ সংস্কার করা হচ্ছে সে প্রশ্নও তোলেন তাঁরা। এ দিকে, কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরে বিশালাক্ষী পাড়ায় গিয়েছিলেন কংগ্রেসের পুরপ্রধান সন্তোষ দাস ও স্থানীয় কাউন্সিলর অজিত বন্দ্যোপাধ্যায়। কিছুক্ষণ পরে ওই এলাকায় গিয়েছিলেন পুরসভার নির্বাহী আধিকারিক তুহিনকুমার পাল।

দাঁইহাট পুরসভা সূত্রে অবশ্য জানা গিয়েছে, গত ৩১ জানুয়ারি কাউন্সিলরদের সভায় ঠিক হয়, শহরের বেশিরভাগ রাস্তা নানা কারণে খারাপ হয়ে গিয়েছে, কোথাও নর্দমা সংস্কারের প্রয়োজন রয়েছে। সেই মতো প্রতি ওয়ার্ডের রাস্তা ও নর্দমা সংস্কারের জন্য গড়ে ৯০ হাজার টাকা বরাদ্দ করে পুরসভা। শহরের ১৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১২টি ওয়ার্ডেরই কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। ৪ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডে ব্যক্তিগত কিছু অসুবিধার জন্য কাজ শুরু করতে দেরি করে ঠিকাদার। বিশালাক্ষীপাড়ার কাজের জন্য গত ২১ জুলাই বরাত দেওয়া হয়। স্থানীয় কংগ্রেসের কাউন্সিলর অজিত বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, “পাইপ লাইন নিয়ে যাওয়ার জন্য ওই রাস্তা খোঁড়া হয়েছিল। প্রতিদিনই কেউ না কেউ দুর্ঘটনার তবলে পড়ছিলেন। তৃণমূলের বাদায় সেই কাজ বন্ধ হয়ে গেল।” পুরপ্রধান সন্তোষ দাসেরও ক্ষোভ, “তৃণমূল বারবার দাঁইহাটের উন্নয়নের কাজে বাধা দিচ্ছে।”

ওই তৃণমূল নেতা সুমন দাস অবশ্য দাবি, “জনগণের টাকা নয়ছয় হলে আমরা প্রতিবাদ করবই। বিশালাক্ষী পাড়ায় ভাল রাস্তার উপরে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে খারাপ রাস্তা তৈরি করা হচ্ছিল।”

obstructing road renovation accused tmc dainhat
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy