দুপুরবেলায় বাড়ি থেকে কাজে বেরিয়েছিলেন। কিন্তু রাত গড়ালেও স্বামী বাড়ি না-ফেরায় চিন্তায় পড়েন স্ত্রী। বার বার ফোন করেও লাভ হয় না। প্রথম দিকে ফোন রিং হলেও পরে ‘সুইচড অফ’। পরে ওই মহিলার ফোনে এক অজানা নম্বর থেকে ফোন আসে। জানানো হয়, স্বামীকে যদি জীবিত দেখতে চান তো গুনতে হবে সাড়ে চার লক্ষ টাকা। সেই ফোন পাওয়ার পরেই থানায় ছোটেন ওই মহিলা। অভিযোগ পাওয়ার পরে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই অপহৃত যুবককে উদ্ধার করে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় দুই অপহরণকারীকেও।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৯ ডিসেম্বর, সোমবার বেলা ১২টা নাগাদ বাড়ি থেকে বার হয়েছিলেন আফতাব মাহমুদ। তবে রাতে না-ফেরায় পরের দিন অর্থাৎ মঙ্গলবার কড়েয়া থানায় উপস্থিত হন তাঁর স্ত্রী। জানান, তাঁর স্বামীকে অপহরণ করা হয়েছে। সাড়ে চার লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছেন অপহরণকারীরা। অভিযোগ পাওয়ার পরেই তদন্তে নামে পুলিশ।
কড়েয়া থানার পাশাপাশি লালবাজারের গুন্ডাদমন শাখাও আফতাবের খোঁজ শুরু করে। বিভিন্ন সূত্রে খবর পেয়ে কড়েয়া থানা এবং গুন্ডাদমন শাখার যৌথ বাহিনী তল্লাশি অভিযানে যায় নদিয়ার কৃষ্ণনগরের কৃষ্ণগঞ্জ থানা এলাকায়। সেখানকার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে হানা দেয় পীরপুরের এক আমবাগানে। সেই আমবাগান থেকেই উদ্ধার করা হয় অপহৃত আফতাবকে।
আরও পড়ুন:
ঘটনাস্থল থেকে অশোক ঘোষ নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জানা গিয়েছে, ওই আমবাগানে আফতাবের সঙ্গে ছিলেন তিনি। পরে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রশান্ত হালদার নামে আরও এক জনের খোঁজ পায় পুলিশ। ওই আমবাগান থেকেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।