Advertisement
E-Paper

স্থায়ী কমিটি গঠন হয়নি, সমস্যায় পঞ্চায়েত সমিতি

প্রধান নির্বাচন নিয়ে এক পঞ্চায়েতে জটিলতার জেরে মুশকিলে পড়েছে গোটা পঞ্চায়েত সমিতি। সালানপুরের জেমারি পঞ্চায়েতে প্রধান নির্বাচন নিয়ে সিপিএম-তৃণমূলের বিরোধ গড়িয়েছে আদালত পর্যন্ত। বছর ঘুরলেও সেই মামলার মীমাংসা হয়নি। ফলে, ওই পঞ্চায়েতে প্রধান নির্বাচন যেমন হয়নি, তেমনই পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী কমিটিও গঠন করা যায়নি।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০২:২৯

প্রধান নির্বাচন নিয়ে এক পঞ্চায়েতে জটিলতার জেরে মুশকিলে পড়েছে গোটা পঞ্চায়েত সমিতি।

সালানপুরের জেমারি পঞ্চায়েতে প্রধান নির্বাচন নিয়ে সিপিএম-তৃণমূলের বিরোধ গড়িয়েছে আদালত পর্যন্ত। বছর ঘুরলেও সেই মামলার মীমাংসা হয়নি। ফলে, ওই পঞ্চায়েতে প্রধান নির্বাচন যেমন হয়নি, তেমনই পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী কমিটিও গঠন করা যায়নি। কারণ, সেই কারণে প্রতিটি দফতরের স্থায়ী কমিটিতে রাখতে হয় এলাকার সব ক’টি পঞ্চায়েতের প্রধানকে। পঞ্চায়েত সমিতি সূত্রে জানা গিয়েছে, স্থায়ী কমিটি গঠন না হওয়ায় সমস্যা হচ্ছে উন্নয়নমূলক কাজে।

গত পঞ্চায়েত ভোটে ৯ আসন বিশিষ্ট জেমারি পঞ্চায়েতে সিপিএম ৫টিতে জিতে বোর্ড দখল করে। ৪ টি পায় তৃণমূল। সেখানে প্রধানের পদটি তফসিলি জাতির মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত। গত বছর ১৬ অগস্ট প্রধান নির্বাচনে সিপিএমের কবিতা বাউরি এবং তৃণমূলের রিঙ্কু বাউরি মনোনয়ন জমা দেন। নির্বাচন আধিকারিক তথা তৎকালীন যুগ্ম বিডিও দুই প্রার্থীর কাছে তফসিলি জাতির শংসাপত্র দেখতে চান। সিপিএম প্রার্থী তা দেখাতে পারলেও তৃণমূল প্রার্থী জানান, তিনি সেটি বাড়িতে রেখে এসেছেন। নির্বাচন আধিকারিক তাঁকে বাড়ি থেকে সেটি নিয়ে আসার অনুমতি দেন। কিন্তু তিনি সেটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আনতে না পারায় সিপিএম প্রার্থীকে প্রধান পদে নির্বাচিত করা হয়।

এর পরেই এই নির্বাচন প্রক্রিয়া বাতিল করার দাবি তোলে তৃণমূল। চাপের মুখে মহকুমা প্রশাসন এই নির্বাচন প্রক্রিয়া বাতিল করে ফের প্রধান নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করে। এ বার তাতে বেঁকে বসে সিপিএম। তারা বিষয়টি নিয়ে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করে। কোর্টের নির্দেশ আসার আগে মহকুমা প্রশাসন তড়িঘড়ি ফের নির্বাচন করে দেয়। সেখানে সিপিএম যোগ না দেওয়ায় তৃণমূল প্রার্থীকে প্রধান ঘোষণা করা হয়। কিন্তু পর দিনই আদালতের নির্দেশ আসে। পুরো প্রক্রিয়াটি স্থগিত করে দেওয়া হয়।

পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী কমিটিতে ব্লকের ১১টি পঞ্চায়েতের সব প্রধানের থাকার কথা। জেমারির প্রধান নির্বাচন না হওয়ায় সালানপুরে গত এক বছর ধরে ন’টি স্থায়ী কমিটি তৈরি করা যায়নি। ফলে, বিভিন্ন সরকারি তহবিলের টাকা উন্নয়নের খাতে ব্যয় করতে পারছে না সিপিএম পরিচালিত এই পঞ্চায়েত সমিতি। সমিতির সভাপতির এক্তিয়ারভুক্ত যৎসামান্য টাকা উন্নয়নের কাজে লাগছে। সভাপতি জগদীশ মালাকার বলেন, “এই টাকা এতটাই কম যে কিছুই করা যাচ্ছে না।” আসানসোলের মহকুমাশাসক অমিতাভ দাস বলেন, “বিষয়টি বিচারাধীন। তাই এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করব না।”

salanpur jemari panchayat cpm-tmc clash
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy