Advertisement
E-Paper

সন্ত্রাসের অভিযোগ ওঠা এলাকায় দাবি বাড়তি নিরাপত্তার

পুরভোট ও পঞ্চায়েত ভোটে রিগিং ও সন্ত্রাসের অভিযোগ ওঠা এলাকায় বাড়তি কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি জানাল সিপিএম। দুর্গাপুরের ২৭ নম্বর ওয়ার্ড ও জেমুয়া পঞ্চায়েত এলাকার জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে এই দাবি জানানো হয়েছে বলে সিপিএম জানিয়েছে। সুষ্ঠু ভোট পরিচালনার জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তার দাবি জানিয়ে চিঠি পাঠিয়েছে কংগ্রেসও। দুর্গাপুরের মহকুমাশাসক তথা সহকারী রিটার্নিং অফিসার কস্তুরী সেনগুপ্ত জানান, সব বুথেই যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০১৪ ০২:০৭

পুরভোট ও পঞ্চায়েত ভোটে রিগিং ও সন্ত্রাসের অভিযোগ ওঠা এলাকায় বাড়তি কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি জানাল সিপিএম। দুর্গাপুরের ২৭ নম্বর ওয়ার্ড ও জেমুয়া পঞ্চায়েত এলাকার জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে এই দাবি জানানো হয়েছে বলে সিপিএম জানিয়েছে।

সুষ্ঠু ভোট পরিচালনার জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তার দাবি জানিয়ে চিঠি পাঠিয়েছে কংগ্রেসও। দুর্গাপুরের মহকুমাশাসক তথা সহকারী রিটার্নিং অফিসার কস্তুরী সেনগুপ্ত জানান, সব বুথেই যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকছে।

সিপিএমের জেমুয়া-বিধাননগর লোকাল সম্পাদক পঙ্কজ রায়সরকার নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগে জানিয়েছেন, পুরভোটে হাডকো, গ্রুপ হাউসিং, বিধাননগর গার্লস হাইস্কুল-সহ বেশ কিছু বুথে বাইরে থেকে আসা তৃণমূলের মোটরবাইক বাহিনী গণ্ডগোল পাকায়। ভোট দিতে দেওয়া হয়নি অনেককে। সেই সব বুথে তাঁরা পুননির্বাচনের দাবি জানালেও তা মানা হয়নি। পুরভোটের পরে মারধর করা হয় বেশ কিছু কর্মীকে।

পঙ্কজবাবু আরও অভিযোগ করেছেন, পরে পঞ্চায়েত ভোটের সময়েও দলের একাধিক কর্মীকে মারধর করা হয়েছে। কারখানায় কাজ থেকে ছাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। একাধিক দলীয় বা শাখা সংগঠনের কার্যালয় জোর করে বন্ধ করে দেওয়া, ভাঙচুর করা হয়েছে। প্রার্থী দিতে দেওয়া হয়নি। জেমুয়া পঞ্চায়েতের চারটি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জেতে তৃণমূল। দলের সমর্থকদের ভোট দিতে বাধা দেওয়া হয়। এমনকী, বিদায়ী সিপিএম প্রধান দেবী রুইদাসকেও ভোট দিতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। এই সমস্ত এলাকায় অতিরিক্ত কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি তুলেছে সিপিএম।

পঙ্কজবাবু বলেন, “পুরভোট ও পঞ্চায়েত ভোটের মতো পরিস্থিতি না হলে আমাদের ফল ভাল হবে। স্বচ্ছ নির্বাচনের স্বার্থে অতিরিক্ত বাহিনীর দাবি তুলেছি।” শহরের কংগ্রেস নেতা স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন তাঁরাও। আইএনটিইউসি নেতা উমাপদ দাস বলেন, “স্বচ্ছ নির্বাচন হোক। সে জন্য যা করার তা যেন করা হয়। নির্বাচন কমিশনের কাছে আমরা সেই দাবিই জানিয়েছি।”

মহকুমাশাসক তথা সহকারী রিটার্নিং অফিসার কস্তুরী সেনগুপ্ত জানান, পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থার পাশাপাশি অন্য নানা ব্যবস্থাও থাকছে। তিনি জানান, বুথে মাইক্রো অবজার্ভার থাকবেন। কিছু অতি স্পর্শকাতর বুথে ওয়েব কাস্টিংয়ের ব্যবস্থা থাকবে। তাঁর কথায়, “নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মেনে স্বচ্ছ নির্বাচনের যাবতীয় প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।”

rigging terrorism loksabha vote
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy