Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
Bayron Biswas

আনুষ্ঠানিক ভাবে বিধানসভায় খাতা খুলল কংগ্রেস, শপথ সাগরদিঘির বাইরনের

২ মার্চ তৃণমূল প্রার্থী দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়ে সাগরদিঘির উপনির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন বাইরন। নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে জয়ীর শংসাপত্র পেয়ে গেলেও তাঁর শপথ গ্রহণ নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছিল।

Picture of of oath taking ceremony

বিধানসভায় কংগ্রেস বিধায়ক বাইরন বিশ্বাসকে শপথবাক্য পাঠ করান বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ মার্চ ২০২৩ ১৪:৪৫
Share: Save:

সাগরদিঘি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনে জয়ের পর বায়রন বিশ্বাসের হাত ধরে আগেই বিধানসভায় স্থান পাকা করেছিল কংগ্রেস। বুধবার বিধায়ক হিসাবে শপথগ্রহণের পর এ বার আনুষ্ঠানিক ভাবে বিধানসভায় খাতা খুলল তারা। সাগরদিঘি উপনির্বাচনে জয়ের ২২ দিন অবশেষে বিধায়ক পদে শপথগ্রহণ করলেন কংগ্রেসের বাইরন বিশ্বাস। বাইরনের শপথগ্রহণ নিয়ে জটিলতা কেটে গিয়েছিল মঙ্গলবারই। এর পর বুধবার তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। স্পিকার বিমান ছাড়াও বাইরনের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পরিষদীয় রাষ্ট্রমন্ত্রী সন্ধ্যারানি টুডু। ছিলেন বিজেপির তিন বিধায়ক অম্বিকা রায়, সত্যেন রায় এবং বঙ্কিম ঘোষ। শপথগ্রহণের অনুষ্ঠান শেষে পুষ্পস্তবক দিয়ে বাইরনকে শুভেচ্ছা জানান বিজেপির এই তিন বিধায়ক।

২ মার্চ তৃণমূল প্রার্থী দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে ২২ হাজার ৯৮০ ভোটে হারিয়ে সাগরদিঘির উপনির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন বাইরন। নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে জয়ীর শংসাপত্র পেয়ে গেলেও বাইরনের শপথ গ্রহণ নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছিল। সাগরদিঘিতে জয়ের পরেই বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন বাইরন। বিধানসভায় এসে দাবি করেছিলেন, তৃণমূলের সমর্থন পেয়ে জিতেছেন। স্পিকারও তাঁকে তৃণমূলের পক্ষের বিধায়ক বলেই মন্তব্য করেছিলেন। আবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে ‘বিজেপির লোক’ বলেছিলেন। তৃণমূল নেত্রীর কথায়, ‘‘লোকটা বিজেপির, প্রার্থী করেছে কংগ্রেস। সমর্থন করেছে সিপিএম।’’ এর পর বাইরনের শপথ নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়।

এর মধ্যেই বিধানসভার স্পিকারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন বাইরন। পরে তাঁকে সঙ্গে করে রাজভবনে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। বাইরনের শপথ দ্রুত করানোর পক্ষে রাজ্যপালের কাছে সওয়ালও করেছিলেন অধীর। এ নিয়ে সোমবার রাজ্যপালকে ফোনও করেছিলেন তিনি। তার পরেই শপথগ্রহণ ঘিরে যাবতীয় জট খুলে যায়। মঙ্গলবার বাইরনের শপথ সংক্রান্ত ফাইলে স্বাক্ষর করেন রাজ্যপাল। বুধবার আনুষ্ঠানিক ভাবে শপথ নেন বাইরন। ফলে ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্ট (আইএসএফ) এবং বাম-কংগ্রেস জোটের হয়ে ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির পর এ বার কংগ্রেসের একমাত্র প্রতিনিধি হিসাবে বিধানসভায় বসলেন বাইরন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE