Advertisement
E-Paper

চলছে ট্রেকার, বিধি ভেঙে বিচ বাইকও

রবিবার ভোরেই মন্দারমণির সৈকতে গতির লড়াইয়ের দাম চুকিয়েছে তিনটে তরতাজা প্রাণ। ফের কড়া হয়েছে পুলিশ-প্রশাসনের নজরদারি। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে স্থানীয় অবৈধ হোটেল নিয়েও। মঙ্গলবারের পরিস্থিতিটা ঠিক কেমন? ঘুরে দেখল আনন্দবাজার।সোমবারের ছবি বজায় রইল মঙ্গলবারও। মন্দারমণির সৈকতে দুই গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষে তিন তরুণের মৃত্যুর পর সৈকতে গাড়ি চালানো নিয়ে ফের কড়া নজরদারি শুরু করেছে পুলিশ।

সুব্রত গুহ

শেষ আপডেট: ২৪ অগস্ট ২০১৬ ০১:২৮
মঙ্গলবার দিনভর চলল বিচ বাইক। সোহম গুহর তোলা ছবি।

মঙ্গলবার দিনভর চলল বিচ বাইক। সোহম গুহর তোলা ছবি।

সোমবারের ছবি বজায় রইল মঙ্গলবারও।

মন্দারমণির সৈকতে দুই গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষে তিন তরুণের মৃত্যুর পর সৈকতে গাড়ি চালানো নিয়ে ফের কড়া নজরদারি শুরু করেছে পুলিশ। সৈকতে স্থানীয় ট্রেকার ও হোটেলের কয়েকটি গাড়ি ছাড়া কারওরই নামার অনুমতি নেই। স্থানীয় প্রশাসনের বক্তব্য, মন্দারমণি মৌজার নিউ জলধা পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার সৈকত ছাড়া বিকল্প কোন রাস্তা না থাকার জন্যই ট্রেকার ও হোটেলের গাড়িকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুরে মন্দারমণির সৈকতে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে হাজির ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(গ্রামীণ) জাফর আজমল কিদোয়াই, রামনগর-২ বিডিও প্রীতম সাহা ও দিঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের নির্বাহী আধিকারিক সুজন দত্ত। বিডিও প্রীতম সাহা বলেন, “মন্দারমণির ট্রেকার চলাচলে কোন বাধা দেওয়া হচ্ছে না। সৈকতে যাওয়ার ২ নম্বর রাস্তার বদলে নির্মীয়মান রাস্তা দিয়ে সৈকতে নামার মুখ ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে মাত্র।” মন্দারমনি কোস্টাল থানার অপসারিত ওসি রাজা মণ্ডলের বদলে সোমবার রাতে দায়িত্ব নেন রামনগর থানার ওসি অমিয় ঘোষ। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নতুন ওসি-র দায়িত্ব নেন কাঁথি থানার সাব-ইন্সপেক্টর পার্থ বিশ্বাস।

তবে মন্দারমণির সৈকতে বিচ বাইক দেখা গিয়েছে এ দিনও। গত বছর প্যার গ্লাইডিং করার সময় উঁচু আলোকস্তম্ভে প্যারাস্যুট জড়িয়ে মারা গিয়েছিলেন এক পর্যটক। তারপর মন্দারমণির সৈকতে প্যারা-গ্লাই়ডিং, প্যারাসেইলিং, বিচ বাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু প্রশাসনের নজর এড়িয়ে সেগুলো যে চলছে তার প্রমাণ মিলেছে মঙ্গলবারও। সৈকতে বিচ বাইক নিয়ে হুড়োহু়ড়ি করতে দেখা যায় স্থানীয় যুবকদের। নজরদারির জন্য কাউকেই দেখা যায়নি।

তবে প্রশাসনের এমন নজরদারি, এত বিধি নিষেধ ব্যবসার উপর প্রভাব ফেলতে পারে বলে অভিযোগ জানাচ্ছেন স্থানীয় হোটেল মালিকরা। বেশ কিছু হোটেল মালিকের অভিযোগ, প্রশাসন ট্রেকার ও গাড়ি সৈকতে নামার নিষেধাজ্ঞা বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রচার হওয়ার পরেই বহু পর্যটক বুকিং বাতিল করেছেন। মন্দারমণি হোটেলিয়ার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সন্দীপন বিশ্বাস জানান, “মন্দারমণি সৈকতে যান চলাচল বন্ধ করার বদলে সৈকতকেন্দ্রের পরিবহণ ব্যবস্থাই বন্ধ করে দিতে চাইছে প্রশাসন। এতে মন্দারমণির হোটেল শিল্প মার
খেতে বসেছে।”

একই বক্তব্য কাঁথি-মন্দারমণি ট্রেকার মালিক শ্রমিক ইউনিউওনের সভাপতি শিবরাম মাইতির। তিনি বলেন, ‘‘২০০৪ সাল থেকে আরটিএ অনুমোদিত ১৬টি ট্রেকার চলে মন্দারমণিতে। এখানে এখনও যাতায়াতের রাস্তা তৈরিই শেষ করতে পারল না প্রশাসন। পুলিশের নজরদারির অভাবে দুর্ঘটনাও ঘটছে। তার দায় কি শুধু হোটেলের?’’

Mandarmani Beach Bikes Accident
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy