যুবভারতীকাণ্ডে কেন্দ্রকে রিপোর্ট দেবেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সোমবার তিনি জানান, সেই রিপোর্ট হবে ‘জনপন্থী’। রাজ্য সরকারকে এই ঘটনার পরে তিনি যে পরামর্শ দিয়েছেন, তা-ও থাকবে রিপোর্টে। রাজ্যপাল মনে করে, শনিবার ফুটবলার লিয়োনেল মেসির অনুষ্ঠানে যুবভারতীতে যে ঘটনা হয়েছে, তা ‘ব্যর্থ ব্যবস্থাপনা’র ফল। এই বিষয়ে নিজের পর্যবেক্ষণের কথা মুখ্যমন্ত্রীকেও বলবেন বলে জানান বোস।
রাজ্যপাল বোস জানিয়েছেন, যুবভারতীর ঘটনায় ‘ফুটবলপ্রেমীদের আবেগ’ আহত হয়েছে। সাধারণ মানুষের মর্যাদাহানি হয়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘এই রিপোর্ট হবে জনপন্থী, যা আমি কেন্দ্রীয় সরকারকে দেব। রাজ্য সরকারকে যে পরামর্শ দিয়েছি, তা-ও জানাব রিপোর্টে।’’
শনিবার যুবভারতীতে মেসিকে ঘিরে ছিলেন আয়োজক, রাজনীতিকেরা। প্রিয় তারকাকে ঠিক ভাবে দেখতে না-পেয়ে ক্রুদ্ধ হয়ে ওঠেন দর্শকেরা। মাঠে তাঁরা ভাঙচুর করেন। এই ঘটনার পরের দিন, রবিবার যুবভারতীতে যান রাজ্যপাল। সরেজমিনে সব দেখে আসেন তিনি। তার পরেই জানান কেন্দ্রীয় সরকারকে রিপোর্ট পাঠানোর কথা। তিনি বলেন, ‘‘পরিকল্পনা এবং ব্যবস্থাপনায় ঘাটতি ছিল। ওই দিন যা হয়েছিল, তা হওয়া উচিত ছিল না। সকল ফুটবলপ্রেমীর আবেগে আঘাত করেছে। ব্যবস্থাপনা ব্যর্থ হয়েছে। গোটা প্রক্রিয়া ব্যর্থ হয়েছে। এত বড় জমায়েতের ক্ষেত্রে কোনও নির্দিষ্ট পরিচালন পদ্ধতি নেই, এটা বিস্ময়কর।
বোস আরও জানিয়েছেন, যুবভারতীর ঘটনায় ইতিমধ্যে রাজ্য সরকারকে বিচারবিভাগীয় তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন। দোষীদের গ্রেফতার করে দর্শকদের টিকিটের টাকা ফেরাতে বলেছেন। শনিবার যুবভারতীতে ভাঙচুর করেছেন দর্শকেরা। সেই নিয়ে রাজ্যপাল বলেন, ‘‘স্টেডিয়াম জণগণের সম্পত্তি। যাঁরা দায়ী (বিশৃঙ্খলার জন্য), পাশাপাশি যে আধিকারিকেরা কর্তব্য করতে ব্যর্থ হয়েছেন, বিশেষত পুলিশ, তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা শুরু হয়েছে।’’ মেসির অনুষ্ঠানে যে রাজনীতিকদের দেখা গিয়েছিল, তাঁদের ভূমিকা নিয়েও কি অনুসন্ধান হবে? এই প্রশ্নের জবাবে রাজ্যপাল বলেন, ‘‘এই নিয়ে আমার পর্যবেক্ষণ প্রথমে জানাব আমার সহকর্মী (মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়)-কে। তার পরে জানাব উদ্দিষ্টজনেদের। তার পরেই প্রকাশ্যে আনব বিষয়টি।’’