গ্রাফিক-শৌভিক দেবনাথ।
ভোট-হিংসার দরুণ রাজ্য জুড়ে ৫৬৮টি বুথে পুনর্নির্বাচন নেওয়া হবে বলে জানিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন। ঝাড়গ্রাম ছাড়া বাকি ১৯টি জেলার বিভিন্ন বুথেই এই পুনর্নির্বাচন হবে। তবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের এই পুনর্নির্বাচনের ঘোষণা নেহাতই শাসকদলের ঝুলিতে আরও কিছু ভোট ভরে দেওয়ার পরিকল্পনা বলে বিরোধীদের মত।
এই প্রসঙ্গে বিরোধীদের অভিযোগ, সেই সমস্ত বুথেই পুনর্নির্বাচন করা হচ্ছে, যেখানে তৃণমূলের পরাজয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। যেমন ভাঙড়ের উত্তর গাজিপুর যেখানে ব্যাপক হিংসা হয় ওই দিন বা নিউটাউনের যে বুথে প্রকাশ্যে তৃণমূলের দলীয় প্রতীকে ছাপ্পা মারার ভিডিও সকলের দেখা সেখানে পুনর্নির্বাচনের নির্দেশ দেওয়া হয়নি। অন্যদিকে, বাগদায় যে বুথে ভোট লুঠ করতে গিয়ে গণপিটুনিতে তৃণমূলকর্মী এমএ-র ছাত্রের মৃত্যু হয়েছিল, সেই বুথে পুনর্নির্বাচন হচ্ছে।
বিরোধীদের অভিযোগ, এর থেকেই পরিষ্কার নিরপেক্ষভাবে পুনর্নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। এর পিছনে শাসকদলের স্বার্থ জড়িয়ে রয়েছে। রাজ্যজুড়ে সমস্ত বুথেই পুনর্নির্বাচনের দাবি তুলেছে বিরোধীরা। বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এ বিষয়ে বলেন, ‘‘৫৬৮টি বুথে নয়, গোটা রাজ্যেই পুনর্নির্বাচন প্রয়োজন।’’
কোন জেলার কত বুথে পুনর্নির্বাচন হচ্ছে দেখে নিন:
জেলা কতগুলো বুথে পুনর্নির্বাচন
হুগলি ১০
পশ্চিম মেদিনীপুর ২৮
জলপাউগুড়ি ৫
কোচবিহার ৫২
মুর্শিদাবাদ ৬৩
পুরুলিয়া ৭
নদিয়া ৬০
দক্ষিণ দিনাজপুর ৩৫
পশ্চিম বর্ধমান ৩
উত্তর ২৪ পরগণা ৫৯
মালদা ৫৫
বীরভূম ৬
বাঁকুড়া ৫
উত্তর দিনাজপুর ৭৩
দক্ষিণ ২৪ পরগণা ২৬
পূর্ব মেদিনীপুর ২৩
আলিপুরদুয়ার ২
ঝাড়গ্রাম ০
পূর্ব বর্ধমান ১৮
হাওড়া ৩৮
মোট ৫৬৮
শুধু মনোনয়ন থেকে নির্বাচন পর্যন্তই নয়, সোমবার ভোট শেষ হতেই ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসেরও সাক্ষী থেকেছে বিভিন্ন জেলা। এ দিন আরও চারজন মারা গিয়েছেন। তাই পুনর্নির্বাচনের দিনেও হিংসার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছে না বিরোধীরা।
আরও পড়ুন: সবাই দেখেছেন কী ভাবে বাংলায় খুন করা হল গণতন্ত্রকে: পঞ্চায়েত নিয়ে হঠাৎ চড়া আক্রমণে মোদী
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy