ইরাকের মসুলে নিহত সমর টিকাদার ও খোকন টিকাদারের পরিবারকে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। ফিরলেন পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী হওয়ার আশ্বাস নিয়ে।
তার পরেই তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় নদিয়ার দলীয় নেতৃত্বকে জানিয়ে দেন, মহেশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সুমনা বিশ্বাসকেই আবার প্রার্থী করতে হবে। এটা দলনেত্রীর নির্দেশ।
নিহত দুই শ্রমিকের স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে শুক্রবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন নদিয়ার মহেশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সুমনা বিশ্বাস। নিহতদের পরিবার যখন মমতার কাছে নিজেদের অসহায়তার কথা বলছেন, তখন সুমনা অবশ্য মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে ছিলেন না। বাইরে অপেক্ষা করছিলেন। কথাশেষে শোকাতুর দু’টি পরিবারকে নিয়ে নিজের ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন মমতা। তাঁদের এগিয়ে দিতে এসেই সুমনার পরিচয় জানতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। নেত্রীকে সামনে পেয়েই সুমনা বলে ফেলেন যে তাঁকে এ বার প্রার্থী করা হয়নি। শুনেই মমতা পার্থবাবুকে ফোন করে নির্দেশ দেন, সুমনাকে অবিলম্বে প্রার্থী করতে হবে।
পার্থবাবু সঙ্গে সঙ্গে সুমনাকে ফোন করে জেলা সভাপতি গৌরীশঙ্কর দত্তের সঙ্গে দেখা করে দ্রুত মনোনয়ন জমা দিতে বলেন। নবান্ন থেকে গাড়িতে মহেশপুরে ফেরার পথে সুমনা বলেন, ‘‘বাড়ি ফিরতে ফিরতে অনেক রাত হয়ে যাবে। কাল গৌরীবাবুর সঙ্গে দেখা করব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy