প্রতীকী ছবি।
ভোটের দিন ‘উন্নয়ন’ রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকবে বলে আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। নদিয়ার হাঁসখালি ব্লক অফিসে ‘ইলেকশন ডিউটি ভোট’ দিতে গিয়ে তা ‘টের পেলেন’ এক স্কুল শিক্ষক তথা ভোটকর্মী ।
বাদকুল্লার ওই শিক্ষকের অভিযোগ, ব্যালট হাতে বাক্সের দিকে কয়েক পা এগোতেই কয়েকটি যুবক বলেন— “ভোটটা জোড়াফুলে দিন।” তিনি জানতে চান, “কেন?” যুবকেরা বলে, “রাজ্যে উন্নয়নের জন্য!” তার পরেও তিনি ইতস্তত করছেন দেখে এক জন তাঁর হাত থেকে ব্যালট ছিনিয়ে ছাপ দিয়ে বাক্সে ফেলে দেয় বলেই শিক্ষকের অভিযোগ।
ওই শিক্ষক বলেন, “এমন ভোট দেখিনি। এ তো গুন্ডামি!” একই অভিযোগ আরও কিছু ভোটকর্মীর। ১৪ মে নির্বাচন হচ্ছে ধরে নিয়ে ৭, ৮, ১০ মে ভোটকর্মীদের ভোট নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। মঙ্গলবার হাঁসখালি থেকে গা-জোয়ারির অভিযোগ আসতে থাকে। লিখিত অভিযোগও জমা পড়েছে নদিয়া জেলা প্রশাসনের কাছে। তাতে জানানো হয়েছে, ভোট দেওয়ার জায়গায় চটের ঢাকনা গুটিয়ে তোলা ছিল। হুমকির মুখে অনেকে জোড়াফুলে ভোট দিতে বাধ্য হন। সিপিএম, কংগ্রেস, বিজেপির অভিযোগ, ভোটের নামে যে প্রহসন হচ্ছে, তা ভোটকর্মীদের ভোট থেকেই স্পষ্ট। নদিয়া জেলা তৃণমূল সভাপতি গৌরীশঙ্কর দত্তের দাবি, “এমন হয়েছে বলে জানা নেই। কিছু বলার থাকলে নির্বাচন কমিশনকে জানান।” জেলাশাসক সুমিত গুপ্ত বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি। মহকুমাশাসককে তদন্ত করতে বলা হয়েছে। রিপোর্ট হাতে পেলেই পদক্ষেপ করা হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy