প্রতীকী ছবি।
উত্তর ২৪ পরগনার এক জেলা পরিষদের প্রার্থী চরম বিপাকে পড়ে জেলার নেতাদের জানিয়েছিলেন। বিদায়ী বোর্ডের এই শীর্ষ পদাধিকারী এবার নির্বাচনী কাজে দলের নীচেরতলার নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পাচ্ছেন না। কারণ নীচেরস্তরে পঞ্চায়েত সমিতি ও গ্রাম পঞ্চায়েতে বিনাভোটে জিতে ‘গা-ছাড়া’ দিয়েছেন তাঁরা। আবার বেশ কয়েকটি জায়গায় ‘শক্তিশালী’ নেতারা ভোটের ‘দায়িত্ব’ নিজের কাঁধে নিয়ে নেওয়ায়ও সমস্যা তৈরি হয়েছে।
বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতার জয় এবার এই নতুন সমস্যায় ফেলেছে তৃণমূলকে। শুধু উত্তর ২৪ পরগণায় নয়, একাধিক জেলায় এই ঘটনা নজরে এসেছে দলের রাজ্য নেতৃত্বের। গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির ‘বিজয়ী’ নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পাচ্ছেন না জেলা পরিষদের প্রার্থীরা। ভোটের ময়দানে তাতে নানারকম আশঙ্কা তৈরি হয়েছে লড়াইয়ে থাকা প্রার্থীদের। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি জেলা থেকে এ ব্যাপারে নির্দিষ্ট তথ্য আসায় উদ্বিগ্ন দলের নেতারা। প্রচার তো বটেই ভোটের দিন ও গণনা নিয়েও তাই দুশ্চিন্তা তৈরি হয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের এক জেলা নেতার কথায়, ‘‘জেলা পরিষদের প্রার্থীদের প্রচার ও অন্য কাজ গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থীর কাজের সঙ্গেই এগোয়। নীচের প্রার্থীদের ভোট নেই এমন কিছু জায়গায় সেই কাজে সমস্যা আছে।’’
পঞ্চায়েত ভোটের দিনক্ষণ নিয়ে টানাপোড়েন অব্যাহত। তবে অন্তত মাসখানেক আগে থেকেই ভোট-কাজে নেমে পড়েছে তৃণমূল। পূর্ণোদ্যমে প্রচার শুরুর পরেই এমন নিষ্ক্রিয়তা দলের নজরে এসেছে। সে কথা স্বীকার করে তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সর্বত্র নয়, তবে বেশ কিছু জেলায় এই প্রবণতা রয়েছে। সংশ্লিষ্ট সকলকেই এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে।’’ তৃণমূল নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সর্বত্র নয়, তবে বেশ কিছু জেলায় এই প্রবণতা রয়েছে। সংশ্লিষ্ট সকলকেই এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে।’’ সেই সঙ্গে এবার প্রাথীদের মধ্যে নিজের কাজ নিজে করে নেওয়ার প্রবণতা লক্ষ্য করেছেন দলের নেতারা। এছাড়াও কিছু ক্ষেত্রে ‘শক্তিশালী’ নেতাদের ‘বাড়তি তৎপরতা’র জন্য সতর্ক করার কাজ শুরু করা হয়েছে। নির্বাচন মিটলে সাংগঠনিক স্তরে এ সব নিয়ে আলোচনা করবে তৃণমূল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy