মারধর মহিলা প্রার্থীকেও। শনিবার আরামবাগে। —নিজস্ব চিত্র
পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন-পর্বের শুরু থেকেই আরামবাগে বিরোধী প্রার্থীদের উপরে হামলা অব্যাহত। এ বার মারধরের সঙ্গে তাঁদের মুখে কালিও লেপে দেওয়া হল। রেয়াত করা হল না মহিলা প্রার্থীদেরও।
শনিবার আরামবাগে মহকুমাশাসকের অফিস চত্বরেই ওই নিগ্রহের অভিযোগ উঠল শাসকদলের বিরুদ্ধে। আক্রান্তদের মধ্যে রয়েছেন গোঘাটের প্রাক্তন ফরওয়ার্ড ব্লক বিধায়ক বিশ্বনাথ কারক, তাঁর স্ত্রী মিঠুমায়া-সহ সাত জন। রাস্তায় ফেলে তাঁদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। তৃণমূল অবশ্য অভিযোগ কোনও ভাবেই মানেনি।
মারধরের কথা মানতে চাননি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) কামনাশিস সেন। তিনিও এ দিন মহকুমাশাসকের অফিস চত্বরে ছিলেন। তাঁর দাবি, ‘‘পুলিশ ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। মারধর হয়নি। কালি মাখানোর ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
নিরাপত্তার জন্য এ দিন ওই অফিস চত্বরে পুলিশ, র্যাফ এবং সিভিক ভলান্টিয়ার মোতায়েন ছিল। ছিলেন এসডিপিও (আরামবাগ) কৃশানু রায় এবং আরামবাগের আইসি শান্তনু মিত্রও। বিশ্বনাথবাবুরা মহকুমাশাসকের অফিসে ঢুকে যান ১০টা নাগাদ। সে খবর পেতেই তৃণমূল নেতাকর্মীরা সেখানে জড়ো হন বলে অভিযোগ। গোলমালের আশঙ্কায় পুলিশ সেই জমায়েত ছত্রভঙ্গ করে। দুপুর ২টো নাগাদ মনোনয়নপত্র দাখিল করে বিশ্বনাথবাবুরা ওই অফিস চত্বরের পুলিশের ব্যারিকেড পার হতেই জনা-পঞ্চাশ তৃণমূল কর্মী তাঁদের উপর হামলা করে বলে অভিযোগ। পুলিশ গেলে হামলাকারীরা পালায়।
বিশ্বনাথবাবু বলেন, ‘‘পুলিশের সামনেই তৃণমূলের ছেলেরা আমাদের কালি মাখিয়ে মারধর করল। মহকুমাশাসক, পুলিশ এবং নির্বাচন কমিশনকে লিখিত ভাবে জানিয়েছি।’’ অভিযোগ উড়িয়ে গোঘাটের তৃণমূল বিধায়ক মানস মজুমদারের দাবি, ‘‘ওই ঘটনার সঙ্গে দলের কারও যোগ নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy