গণনাকেন্দ্রে হামলার পর উত্তপ্ত করিমপুরের কানাইখালি। রাস্তায় জ্বলছে বাইক। —নিজস্ব চিত্র।
ফের হামলা গণনাকেন্দ্রে। ফের গণনা থামল মাঝপথে। ব্যাপক তাণ্ডবে এলাকাছাড়া করা হল বিজেপি প্রার্থী এবং কাউন্টিং এজেন্টদের। তার পরে ২৪ আসনের গ্রাম পঞ্চায়েতে ১৭টি আসনের দখল গেল তৃণমূলের হাতে। প্রতিবাদে পথ অবরোধ করল বিজেপি। আগুন লাগানো হল যানবাহনে। অবরোধ তুলতে গিয়ে পুলিশ গুলিও চালিয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। তবে পুলিশ গুলি চালানোর কথা স্বীকার করেনি।
ঘটনা নদিয়ার করিমপুর ২ ব্লকের। স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, নন্দনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ২৪টি আসনের মধ্যে ১৫টি আসনের গণনা শেষ হয়ে গিয়েছিল। ১১টিতেই জয়ী হয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থীরা। পঞ্চায়েত হাতছাড়া হবে বুঝেই তৃণমূল গণনাকেন্দ্রে হামলা চালায় বলে বিজেপির দাবি। বিজেপির ছয় প্রার্থীর জয়ের শংসাপত্র ছিঁড়ে দেওয়া হয়। মারধর করে প্রার্থীদের এবং কাউন্টিং এজেন্টদের বার করে দেওয়া হয়। গণনাকেন্দ্রের বাইরে বিজেপির ক্যাম্পেও চালানো হয় তাণ্ডব।
স্থানীয় সূত্রের খবর, হামলার মুখে পড়ে গণনাকেন্দ্র ছেড়ে পালিয়ে যান বিজেপির নেতা-কর্মীরা। তার পরে অবরোধ শুরু করেন কানাইখালি এলাকায়, যেখানে বিজেপির শক্তি বেশি।
গুলিতে সাংঘাতিক ভাবে জখম পবিত্র রায় হাসপাতালে। পুলিশ অবশ্য গুলিচালনার খবর অস্বীকার করেছে। —নিজস্ব চিত্র।
অন্য দিকে, বিজেপি প্রার্থী এবং এজেন্টদের বার করে দিয়েই ফের শুরু হয়ে যায় নন্দনপুর পঞ্চায়েতের গণনা। ২৪টি আসনের মধ্যে ১৭টিতেই তৃণমূল প্রার্থীরা জয়ী ঘোষিত হন। তাতে আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি।
আরও পড়ুন: সব নজির ভেঙে এ বার গণনা কেন্দ্রে ঢুকে অবাধ ছাপ্পা
অবরোধ তোলার জন্য পুলিশ কানাইখালিতে পৌঁছতেই উত্তেজনা চরমে ওঠে। বাসে এবং একটি বাইকে বিক্ষোভকারীরা আগুন ধরিয়ে দেন। অবরোধ হঠাতে এর পরে পুলিশ গুলি চালায় বলে বিজেপির দাবি। তাতে এক বিজেপি কর্মী জখম হন বলেও অভিযোগ। পুলিশ অবশ্য গুলিচালনার অভিযোগ সম্পূর্ণ নস্যাৎ করেছে।
আরও পড়ুন: গণনাকেন্দ্রের মধ্যেই ‘জয়ী’ বিজেপি প্রার্থীকে বেধরক মারধর ছোট জাগুলিয়ায়
২০১৩ সালের নির্বাচনে নন্দনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ২৪টি আসনের মধ্যে ১২টি পেয়েছিল তৃণমূল। বাকি ১২টি পেয়েছিল বামেরা। টস জিতে পঞ্চায়েতের দখল নেয় তৃণমূল। এ বার বামেদের বদলে বিজেপি হয়ে উঠেছিল প্রধান প্রতিপক্ষ। বিজেপির দাবি, আগের বারের মতো টাই নয়, পঞ্চায়েত এ বার তৃণমূলের হাতছাড়া হতে চলেছিল। গণনাকেন্দ্রে হামলা চালিয়ে সেই ফল উল্টে দেওয়া হল বলে অভিযোগ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy