Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

থানায় টিকিট বিলির মীমাংসা! তৃণমূল নেতার অভিযোগ

শাসক দলের অন্দরের খবর, পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড়ে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি মিহির চন্দের সঙ্গে জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ সূর্যকান্ত অট্টের বিরোধ দীর্ঘদিনের। তার জের পড়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের টিকিট বিলিতেও।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বেলদা শেষ আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০১৮ ১৭:৫৩
Share: Save:

কার অনুগামীরা দলীয় প্রতীক পাবেন, তা নিয়ে দুই তৃণমূল নেতার মধ্যে টানাপড়েন চলছিল। শনিবার মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনে প্রতীকের নথি (বি ফর্ম) ভর্তি ব্যাগ ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠল এক নেতার বিরুদ্ধে। এমনকি, নথি ছিনিয়ে নেওয়ার সময় ওই নেতাকে মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ। তিনি হাসপাতালে ভর্তি। তাঁর অভিযোগ, পুরো ঘটনাটি ঘটেছে থানার মধ্যে। যদিও পুলিশ তা মানতে নারাজ।

শাসক দলের অন্দরের খবর, পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড়ে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি মিহির চন্দের সঙ্গে জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ সূর্যকান্ত অট্টের বিরোধ দীর্ঘদিনের। তার জের পড়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের টিকিট বিলিতেও। ব্লকের বাখরাবাদ, হেমচন্দ্র ও বেলদা-২ গ্রাম পঞ্চায়েতে কিছু আসন নিয়ে সমঝোতা হলেও বহু ক্ষেত্রেই গোঁজ প্রার্থী থেকে গিয়েছিল। মিহিরবাবুর দাবি, টিকিট বিলির সমস্যা মেটাতে এ দিন তাঁকে বেলদা থানায় ডেকে পাঠানো হয়েছিল। সেখানেই বচসা শুরু হয়। বচসার সময় মিহিরবাবুর হাত থেকে প্রতীকের নথি ভর্তি ব্যাগ ছিনিয়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ঠেলাঠেলি ও মারের মধ্যে পড়ে যান মিহিরবাবু। তাঁর কথায়, ‘‘দু’টি গ্রাম পঞ্চায়েতের টিকিট বণ্টন নিয়ে সমস্যা ছিল। বেলদা থানার আধিকারিক থানায় ডেকে পাঠান। সেখানে সূর্য অট্টকেও ডাকা হয়।’’ মিহিরবাবুর অভিযোগ, ‘‘সূর্য অট্টের অনুগামীরা আমাকে মারধর করে দলীয় প্রতীক কে়ড়ে নেয়। খড়গপুর গ্রামীণ থানার আধিকারিক বিশ্বরঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায় ও বেলদা থানার আধিকারিক অমিত মুখোপাধ্যায়ের সামনেই মারধর করা হয়েছে।’’

জখম মিহিরবাবুকে প্রথমে বেলদা গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে তাঁকে মেদিনীপুর মেডিক্যালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। তবে রাত পর্যন্ত মারধরের কোনও অভিযোগ করেননি মিহিরবাবু। কেন? মিহিরবাবুর জবাব, ‘‘আগে সুস্থ হই। পরে অভিযোগ করব।’’ আর সূর্য অট্ট মারধরের অভিযোগ উড়িয়ে দাবি করেছেন, ‘‘আমাদের মধ্যে রাজনৈতিক যে দ্বন্দ্ব ছিল তা পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অনেকটা মিটিয়ে নিয়েছি। মারধরের কোনও প্রশ্নই ওঠে না।’’

থানার মধ্যে শাসক দলের বিরোধ মীমাংসার চেষ্টা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এ বিষয়ে খড়্গপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ওয়াই রঘুবংশী বলেন, ‘‘সরকারি ভাবে থানায় কোনও বৈঠক ছিল না। তবে নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে থানায় অনেকসময় অনেককে ডাকা হয়।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE