আহত তৃণমূল কর্মী। ছবি: হিমাংশু রঞ্জন দেব।
আশঙ্কা ছিলই। সোমবার পঞ্চায়েত ভোটের সকাল থেকে গুলি-বোমার লড়াইয়ে তপ্ত হয়ে উঠল উত্তরবঙ্গ। ভোটের লাইনেই মৃত্যু হল দুই নাগরিকের। মাথায় বাঁশ মারায় মারা গিয়েছেন এক তৃণমূল কর্মী। গুলিতে মারা গিয়েছেন বিজেপির এক কর্মী। সেই সঙ্গে ভোটের দিন কর্তব্যরত অবস্থায় অবস্থায় মারা গিয়েছেন পুলিশের এক সাব ইন্সপেক্টর। ভোটের আগের দিন, রবিবার বোমায় মৃত্যু হয়েছে এক তৃণমূল কর্মীর। এ ছাড়াও, সোমবার গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বেশ কয়েকজন। বোমার আঘাতে জখম হয়েছেন আরও অনেকে।
সোমবার দক্ষিণ দিনাজপুরের কুশমণ্ডি ব্লকের কাঁটাবাড়ি হাইস্কুল বুথে দুই পক্ষের সংঘর্ষে বিজেপির কর্মী বিশু টুডু (৩৫) খুন হন বলে অভিযোগ উঠেছে। বিশুবাবুর বাড়ি গঙ্গারামপুর ব্লকের দাসপাড়া এলাকায়। বিজেপির অভিযোগ, এ দিন দুপুরে একদল দুষ্কৃতী বুথে এলে বিজেপি কর্মীরা তাঁদের বাধা দেয়। এরপরেই দু’পক্ষের মধ্যে বোমা, পিস্তল, তির, ধনুক নিয়ে সংঘর্ষ লেগে যায়। তখনই দুষ্কৃতীদের গুলিতে বিশু খুন হন। তৃণমূল এই ঘটনার সঙ্গে কোনও সম্পর্ক অস্বীকার করেছে।
ওই জেলারই তপনে কসবা বাতর এলাকায় তৃণমূলের পোলিং এজেন্ট সঞ্জয় সরকারকে (২৩) মাথায় বাঁশ মেরে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। এ বার অভিযুক্ত বিজেপি। তবে বিজেপি তা অস্বীকার করেছে। তপনেই রবিবার রাতে বোমায় মারা যান তৃণমূলের কর্মী মহিউদ্দিন মহালত (৬০) ওরফে মাহি।
উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের দেবীনগর জগদীশনাথ বিদ্যাপীঠে ভোট দিতে গিয়ে মারা গিয়েছেন অমৃত সাহা (৫০)। ওই কেন্দ্রে গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রার্থী শিপ্রা সাহার তিনি মামাশ্বশুর। শিপ্রার বক্তব্য, ‘‘আচমকা কিছু বহিরাগত তৃণমূলের পতাকা নিয়ে বুথে আসে। ওরা কেউ তৃণমূলে লোক নয়।’’ সে সময়ই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান অমৃতবাবু।
কোচবিহারে ভোটের লাইনে দাঁড়িয়েই মারা গিয়েছেন দুলাল ভৌমিক (৭২)। অভিযোগ, তাঁকে শাসকদলের কর্মীরা মারধর করেন। যদিও শাসক ও পুলিশের দাবি, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই মৃত্যু হয়েছে ওই বৃদ্ধের। এ দিন ভোটের কাজে কর্তব্যরত অবস্থায় মারা গিয়েছেন পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর নীতীশ দাস (৫৮)। উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুর থানার মাটিকুণ্ডা এলাকাতে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy