কোনও ব্লকে গড় ভোটের ১৫% কম-বেশি হলেই সংশ্লিষ্ট বুথে ভোট পরবর্তী স্ক্রুটিনি হবে। শনিবার জেলাশাসক ও জেলা পঞ্চায়েত নির্বাচনী আধিকারিকদের এ নিয়ে চিঠি দিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
মঙ্গলবার এই ভোট পরবর্তী স্ক্রুটিনিগুলি ভোটের সরঞ্জাম গ্রহণ কেন্দ্রে হওয়ার কথা। পাশাপাশি, ১০টির বেশি টেন্ডার ভোট পড়লেও সেই বুথে ভোট পরবর্তী স্ক্রুটিনি হওয়ার কথা। সেখানে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীদের হাজির থাকার বিষয়ে শুরুতে নির্দেশিকা জারি করেছিল কমিশন। তা-ও বদলানো হয়েছে। কমিশন সূত্রে খবর, প্রার্থীরা স্ক্রুটিনির সময়ে হাজির হলে ভিড় বাড়বে, তাতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিও অবনতির আশঙ্কা থাকতে পারে, তাই প্রার্থীরা না রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।
৬ মে এক নির্দেশিকায় বলা হয়েছিল, ৯০%-এর বেশি বুথে ভোট পড়লেই স্ক্রুটিনি হবে। কিন্তু তা নিয়ে বিভিন্ন জেলা প্রশাসন বলে, পঞ্চায়েত ভোটে বহু বুথে সাধারণভাবে ৯০%-এর বেশি ভোট পড়ে। জেলা প্রশাসনের এই বক্তব্যের পরেই ব্লকে গড় ভোটের ১৫% কম-বেশির উপরে স্ক্রুটিনি নির্ভর করবে। আজ, রবিবার সকাল থেকে কমিশনের কন্ট্রোল রুম খোলা থাকবে। যার ফোন নম্বর ২২৮০-৫৮০৩/০৪। নির্ভয়ে ভোট দেওয়ার বার্তা দিয়ে বিভিন্ন কাগজে কমিশনের তরফে বিজ্ঞাপন থাকবে। সচিত্র পরিচয়পত্র (এপিক) ছাড়া মোট ১৪টি পরিচয়পত্র দিয়ে ভোট দেওয়া যাবে। তার মধ্যে আধারও থাকছে।