এক দিনে পঞ্চায়েত নির্বাচন করার রাজ্যের সুপারিশ মেনে নিল কমিশন। কিন্তু, আদৌ কি রাজ্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে পারবে? এ নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
রাজ্য জুড়ে নির্বাচন হবে মোট ৫৮ হাজার ৪৬৭টি বুথে। বুধবার পর্যন্ত রাজ্য সরকার কমিশনকে জানিয়েছে, ভোটের জন্য তারা ৫৮ হাজার পুলিশ কর্মীর ব্যবস্থা করতে পারবে। তার মধ্যে ৪৬ হাজার সশস্ত্র এবং বাকি ১২ হাজার লাঠিধারী। এই হিসেব অনুসারে প্রতিটি বুথে এক জনের বেশি নিরাপত্তরক্ষী মোতায়েন করা সম্ভব নয়। প্রতি বুথে সশস্ত্র পুলিশ মোতায়েন দূর অস্ত্। পুলিশ বাহিনীর স্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর (এসওপি) অনুসারে, যেখানেই বাহিনী মোতায়ে করা হোক না কেন, তা জোড় সংখ্যায় করতে হবে। অর্থাৎ কমপক্ষে দু’জন। সে ক্ষেত্রে ২৩ হাজারের বেশি বুথে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন করা সম্ভব নয়। বিধি ভেঙে কি তা হলে প্রতি বুথে এক জন পুলিশ কর্মী থাকবেন? জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে।
তা হলে বিকল্প কী হতে পারে?
আরও পড়ুন
সরকার বলল, মেনে নিল কমিশন, ১৪ মে এক দিনে ভোট, গণনা ১৭-য়
বিশেষজ্ঞদের একটা অংশের মতে, কমিশন অতি স্পর্শকাতর বুথ চিহ্নিত করে সেখানে সশস্ত্র পুলিশ রাখতে পারে। বাকি বুথে লাঠিধারী পুলিশ। অন্য দিকে, কলকাতা পুলিশের ২৬ হাজার কর্মীর একটা অংশকে ব্যবহার করতে পারে রাজ্য সরকার। অন্য রাজ্যের পুলিশ চেয়ে পাঠানো যেতে পারে।
পাশাপাশি সিভিক ভলান্টিয়ার মোতায়েনও করা যেতে পারে। কিন্তু, সিভিক ভলান্টিয়ার বা লাঠিধারী পুলিশ মোতায়েন করলে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে। রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে নিরাপত্তা সংক্রান্ত রিপোর্ট আগামী ৩০ এপ্রিল জমা দিতে হবে হাইকোর্টে। সেই রিপোর্টে হাইকোর্ট সন্তুষ্ট না হলে ফের সমস্যার মুখে পড়তে পারে কমিশন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy