‘নির্বাচনের নামে ছেলেখেলা হচ্ছে’, রবিবার সাংবাদিক বৈঠকে এমনই মন্তব্য করলেন সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।
ফের মুখ খুললেন সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়। ‘নির্বাচনের নামে ছেলেখেলা হচ্ছে’, রবিবার বললেন লোকসভার প্রাক্তন স্পিকার। বাইরের রাজ্য থেকে পুলিশ চাওয়া হচ্ছে, তবু কেন কেন্দ্রের কাছে বাহিনী চাওয়া হচ্ছে না, তা নিয়েও বিস্ময় প্রকাশ করলেন সোমনাথবাবু।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন পর্ব ঘিরে যে অশান্তির ছবি দেখা গিয়েছে গোটা রাজ্যে, তার প্রেক্ষিতে গত সপ্তাহেই মুখ খুলেছিলেন সোমনাথ। রাজ্যে গণতন্ত্র সুরক্ষিত নয়, আইনের শাসন নেই, সুতরাং ৩৫৬ ধারা জারি করার দাবি বিচার করে দেখা উচিত— সে দিনের সাংবাদিক বৈঠকে এমনই মন্তব্য করেছিলেন বর্ষীয়ান রাজনীতিক। আর রবিবার সোমনাথবাবু বললেন, ‘‘রাজ্যে গণতন্ত্রের সমাধি রচিত হয়ে গিয়েছে।’’
দক্ষিণ কলকাতায় নিজের বাসভবনেই এ দিন সাংবাদিক বৈঠক করেন সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়। অত্যন্ত গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে সোমনাথবাবুর মন্তব্য, ‘‘জীবনের শেষ দিকে এসে গিয়েছি। অনেক নির্বাচন দেখেছি। অনেক নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। কিন্তু এ রকম বেদনা কখনও অনুভব করিনি।’’
আরও পড়ুন: পঞ্চায়েতে নিরাপত্তা নিয়ে ধন্দই
পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে হিংসার যে ছবি দেখা গিয়েছে এবং রাজ্য জুড়ে সন্ত্রাস কায়েম করার যে অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে উঠছে, তার প্রেক্ষিতে প্রবীণ রাজনীতিকের মন্তব্য, ‘‘এ বারের নির্বাচন আদৌ শান্তিপূর্ণ হচ্ছে না। ... এত বড় একটা নির্বাচন হচ্ছে, কিন্তু তা যেন মানুষকে বাদ রেখে হচ্ছে।’’
নির্বাচন কমিশনার অমরেন্দ্র সিংহ স্বাধীন ভাবে কাজ করতে পারছেন না, তিনি রাজ্য সরকারের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে কাজ করছেন বলে লোকসভার প্রাক্তন স্পিকার মনে করছেন। প্রথমে যখন তিন দফায় ভোট করানোর কথা হয়েছিল, তখন কেন পরে এক দফায় ভোট করানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হল? প্রশ্ন তুলেছেন সোমনাথ।
আরও পড়ুন: ‘ভোটের দিনও দেখবেন, রাস্তায় উন্নয়ন দাঁড়িয়ে’
এক দফায় নির্বাচন করানোর জন্য যথেষ্ট পরিমাণ বাহিনী রাজ্যের হাতে না থাকা সত্ত্বেও কেন কেন্দ্রের কাছ থেকে বাহিনী চাওয়া হচ্ছে না, সোমনাথবাবু এ দিন সে প্রশ্নও তোলেন। তিনি বলেন, ‘‘৫টি রাজ্যের কাছ থেকে বাহিনী চেয়ে পাঠানো হয়েছে। কয়েকটা রাজ্যকে এ ভাবে বেছে নেওয়াও তো আশ্চর্যের বিষয়! কিসের ভিত্তিতে এই রাজ্যগুলিকে বেছে নেওয়া হল? এর চেয়ে কেন্দ্রকে বললেই তো হত!’’
মানুষেক গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে এবং তার প্রতিবাদ হওয়ার দরকার বলে প্রাক্তন স্পিকারের মত। তিনি বলেন, ‘‘নির্বাচন হচ্ছে না, নির্বাচনটাকে ছেলেখেলা করে দেওয়া হয়েছে। সেই ছেলেখেলাতেই মানুষের প্রাণসংশয় হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy