ভাঙড়ের জমি আন্দোলন কমিটির এক মহিলা প্রার্থীর দুই ছেলেকে তুলে নিয়ে গিয়ে আটকে রাখা এবং মারধরের অভিযোগ উঠল আরাবুল বাহিনীর বিরুদ্ধে। শুক্রবার এ নিয়ে উত্তেজনা ছড়িয়েছে ভাঙড়ের কাশীপুর থানার দক্ষিণ গাজিপুরে।
এ বারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে পোলেরহাট ২ নম্বর অঞ্চল থেকে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন জমি জীবিকা বাস্তুতন্ত্র ও পরিবেশ রক্ষা কমিটির প্রার্থী ফতেমা বিবি। অভিযোগ, মনোনয়ন তোলার জন্য বার বার চাপ দিয়ে হুমকি আসতে থাকে আরাবুল বাহিনীর কাছ থেকে।
শুক্রবার সকালে আরাবুলের ভাই খুদে ইসলাম জনা তিরিশ লোক নিয়ে ফতেমা বিবির বাড়িতে চড়াও হন বলে অভিযোগ। অভিযোগ, তাণ্ডব চালিয়ে তাঁর দুই ছেলে রিয়াজুল মোল্লা ও নাজিবুল ইসলামকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় দক্ষিণ গাজিপুরে আরাবুলের বাড়িতে এবং সেখানে আটকে রেখে তাঁদের মারধরও করা হয়। শুধু তাই নয়, ওই দু’জনের মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে হুমকি দেওয়া হয়, তাঁদের মা যেন মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন। টেলিফোনে ফতেমার স্বামীকেও হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন: একদিনের ভোটে মূল প্রশ্ন, পুলিশ মিলবে তো?
জমি জীবিকা কমিটি সূত্রে খবর, বেশ কয়েক ঘণ্টা আটকে রাখার পর আরাবুলের লোকেরা রিয়াজুল ও নাজিমুলকে নিয়ে কাশীপুর থানায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু অনন্তপুরের কাছে গ্রামবাসীরা বিষয়টি জানতে পারার পরই আরাবুলের লোকেদের আটকানোর চেষ্টা করেন। দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এই গণ্ডগোলের সুযোগ নিয়ে নাজিবুল আরাবুল বাহিনীর খপ্পর থেকে পালিয়ে আসতে সক্ষম হয়। কিন্তু তাদের হাতে রিয়াজুল এখনও আটক বলে জমি জীবিকা কমিটি সূত্রে শুক্রবার দুপুরে দাবি করা হয়েছে।
ফতেমা বিবির লিখিত অভিযোগপত্র। পড়তে ক্লিক করুন।
এই ঘটনার পরই জমি জীবিকা কমিটির সদস্য শর্মিষ্ঠা চৌধুরী তাঁদের প্রার্থীর দুই ছেলেকে উদ্ধারের আর্জি জানিয়ে আরাবুল বাহিনীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জানান বারুইপুর পুলিশ জেলার সুপারের কাছে। বিডিও এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছেও মনোনয়ন প্রত্যাহারের চাপ এবং আরাবুল বাহিনীর তাণ্ডবের অভিযোগ জানিয়ে অভিযোগ করা হয়।
আরও পড়ুন: সুরক্ষার হাল নিয়েই আশঙ্কায় বিরোধীরা
তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অপহরণ এবং মারধরের ঘটনার কথা অবশ্য পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন আরাবুল ইসলাম। তাঁর দাবি, “আমি তো কলকাতায় আছি। এ বিষয়ে কিছু জানি না। এ রকম কোনও ঘটনার সঙ্গে আমি জড়িত নই।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy