প্রতীকী ছবি।
কারও জিজ্ঞাসা, ‘আপনি একা কেন, বাকি দুই প্রার্থী কোথায়?’ কারও গলায় আবার শ্লেষ, ‘অন্য দু’জন তো ভোটের আগেই জিতে গিয়েছেন। আপনি পারেননি বুঝি!’
প্রচারে গিয়ে এমনই ‘অস্বস্তিকর’ প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে হলদিয়ার ২৩ নম্বর জেলা পরিষদ আসনের তৃণমূল প্রার্থী সোমনাথ ভুঁইয়াকে। পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়া ব্লকে গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির বেশির ভাগ আসনে ভোটের আগেই জয় শাসকের হাসি চওড়া করেছিল। কিন্তু ত্রিস্তরের দু’টিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ের ঠেলা ভালই টের পাচ্ছেন জেলা পরিষদ প্রার্থী সোমনাথ। দেভোগ পঞ্চায়েতের ১২টির মধ্যে ১০টি আসনে ও দেউলপোতার গ্রাম পঞ্চায়েতে ২২টির মধ্যে ৫টিতে বিনাযুদ্ধে জিতেছে তৃণমূল। সেখানে পঞ্চায়েত সমিতির ভোটও হচ্ছে না। তাই ভোটারদের দোরে প্রশ্নবাণে জর্জরিত হতে হচ্ছে ভোট যুদ্ধে থাকা তৃণমূলের সবেধন প্রার্থী সোমনাথকে।
শিবরামনগরের এক মহিলার কথায়, ‘‘উনি এক জনকে ভোট দেওয়ার কথা বলায় জিজ্ঞেস করেছি বাকি দুই প্রার্থী কোথায়? সদুত্তর দিতে পারেননি।’’ মনোহরপুরের এক যুবক আবার বললেন, ‘‘ওই প্রার্থীর কাছে জানতে চেয়েছিলাম, এত উন্নয়ন সত্ত্বেও ভোটে হাঙ্গামা হচ্ছে কেন?’’
প্রশ্নের মুখে পড়ার কথা মানছেন সোমনাথও। তিনি বলেন, ‘‘পঞ্চায়েতের দু’টি স্তরে বিনাযুদ্ধে জয় নিয়ে লোকে নানা কথা বলছে। কর্মীরা বোঝাচ্ছেন যে, বিরোধীরা নিজেদের ব্যর্থতায় প্রার্থী দিতে পারেনি। এতে আমাদের কিছু করার নেই।’’
মনোনয়নে হলদিয়ায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলেছিল বিরোধীরা। সোমনাথকে প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে জেনে সিপিএম নেত্রী মন্দিরা পণ্ডা বলেন, ‘‘শাসক দলের গাজোয়ারি মানুষ মানতে পারেনি। সেই মনোনয়ন থেকে বিরোধীদের মারধর, হুমকি চলছে। কিন্তু মানুষের প্রশ্নের জবাব তো দিতে হবে!’’ সোমনাথের প্রতিপক্ষ এসইউসি-র শ্যামসুন্দর দাস। এসইউসির জেলা সম্পাদিকা অনুরূপা দাসেরও অভিযোগ, ‘‘জেলায় সন্ত্রাস চালাচ্ছে তৃণমূল। মানুষ জবাবদিহি চাইবেনই।’’
সন্ত্রাসের অভিযোগ মানছে না তৃণমূল। দলের ব্লক সভাপতি রামচন্দ্র জানা বলেন, ‘‘কোথাও সন্ত্রাস হয়নি। প্রচুর উন্নয়ন হয়েছে। মানুষ তাই আমাদের সমর্থন করছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy