পঞ্চায়েতে দলের লক্ষ্য ১০০ শতাংশ। তাই বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ের পরে ‘আত্মতুষ্টি’ নিয়ে সতর্ক থাকছে তৃণমূল।
পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়নপর্ব থেকেই বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় নিয়ে শোরগোল চলছে। শুধু তাই নয়, এই কারণে রাজ্য ব্যাপী জয়-জয় ভাব তৈরি হয়ে গেলেও তা ৩৪ শতাংশ। বাকি ৬৫ শতাংশ আসনে যে ভোট হবে, সে কথা মনে করিয়েই জেলা স্তরে সতর্কবার্তা দিচ্ছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, ‘‘আমাদের জয় নিশ্চিত। কিন্তু জিতে গেছি, এই মনোভাবে শিথিলতা এসে গেলে ক্ষতি হতে পারে। তাই যে সব জায়গায় নির্বাচন হবে সেখানে দলের পূর্ণ সাংগঠনিক প্রস্তুতি রাখতে হবে।’’
বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ের কারণে ভোটের লড়াই প্রায় নেই বললেই চলে বীরভূমে। এখানে প্রায় ৮৭ শতাংশ আসনে ভোট হবে না। একই অবস্থা রয়েছে বাঁকুড়া, মুর্শিদাবাদ, দুই বর্ধমান ও দক্ষিণ ২৪ পরগণাও এই তালিকায় রয়েছে। এই জেলাগুলির সিংহভাগ আসন ভোটের আগে দখলে চলে আসায় কি বাকি জায়গায় আত্মতুষ্টিতে ভুগছেন দলের নেতা-কর্মীরা? পার্থবাবুর কথায়, ‘‘এই জেলাগুলিতে প্রার্থী দিতে সেভাবে পারেনি বিরোধীরা। তাতে অন্য জায়গায় তারা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকবে না, তা ধরে নেওয়া যাবে না।’’ তাই সর্বত্রই এই বিষয়টি দেখতে বলা হয়েছে। নির্বাচনী প্রস্তুতিতে কোথাও খামতি রাখা যাবে না। এবং মনোনয়নপর্বে হিংসা নিয়ে যে চাপানউতোর শুরু হয়েছিল, তা ছেড়ে এখন জল, আলো, রাস্তা নিয়ে প্রচারে জোর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
উত্তরবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলায় বিরোধীদের প্রার্থী রয়েছে। দক্ষিণবঙ্গেও একাধিক জেলায় লড়াইয়ে আছে তারা। যে সব জায়গায় প্রায় তাল ঠুকে প্রার্থী দিয়েছে বিরোধীরা, সেইরকম কিছু জায়গায় তৃণমূলকে লড়াই করতে হবে বলেও মনে করছেন দলের নেতারা। উত্তরের আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, দক্ষিণ দিণাজপুর এবং দক্ষিণের ঝাড়গ্রাম ও পুরুলিয়াকে এই বন্ধনীতেই রাখছেন তাঁরা। তাই বিরোধীরা লড়াইয়ে রয়েছেন, এইরকম জায়গায়ও কড়া ‘পাহারা’ রাখতে চান শাসকদলের শীর্ষনেতৃত্ব।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy