ধারের টাকা ফেরত চাওয়ায় বাংলার যুবকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল দিল্লিতে। শুক্রবার রাজধানীর শন্তনগর এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। মৃতের নাম হাবিব শেখ (৩০)। মুর্শিদাবাদের বড়়ঞা থানা এলাকার বাসিন্দা। শনিবার রাতে পরিবার হাবিবের মৃত্যুর খবর পায়।
মৃত হাবিবের বাবা সানিফ রহমান বলেন, ‘‘আমার ছেলে পাঁচ বছর ধরে দিল্লিতে রয়েছে। প্রথমে পরিযায়ী শ্রমিক হিসেবে শন্তনগর এলাকায় একটা মেডিক্যাল সরঞ্জাম তৈরির কারখানায় কাজ করত। তিন বছর ওখানেই কাজ করেছে। থাকত কারখানায় পাশে। পরে দু’বছর ধরে নিজেই একটা মেডিক্যাল সরঞ্জাম তৈরির কারখানায় খোলে স্থানীয় সহকর্মীদের সহযোগিতায়। ব্যবসা ভালই চলছিল। কারখানার কাছে একটা ঘরে হাবিব-সহ আরও চার জন কারখানার কর্মী থাকত।”
বাবা আরও জানিয়েছেন, যে চার জনের সঙ্গে হাবিব থাকতেন, তাঁরা ছ’মাস আগে এক লাখ টাকা ধার নেন। অগস্টে মাসে ফেরত দেওয়ার কথা ছিল। ধারের সেই টাকা ফেরত না দেওয়ায় হাবিব তাঁদের বার বার তাঁদের তাগাদা দিচ্ছিলেন। সানিফ বলেন, ‘‘বৃহস্পতিবার ফোনে ছেলে আমাকে সব জানিয়েছিল। শুক্রবার ছেলে ফোন করেনি। শনিবার ছেলের কারখানার অন্য শ্রমিকেরা আমাকে ফোনে জানায় যে, ৪-৫ জন মিলে হাবিবকে নির্মম ভাবে মারধর করেছে। ওর সারা শরীরে কালচে ও নীলচে দাগ পড়ে যায়। শুক্রবার রাতে দেহ উদ্ধার হয় কারখানার পাশের একটা জঙ্গল থেকে। শনিবার রাতে দিল্লির পুলিশ ও কারখানার অপর কর্মীরা আমাদের মৃত্যুর খবর দেয়। ছেলের সঙ্গে একই ঘরে থাকা চার জনের খোঁজ নেই।”