বছর ঘুরতে চলল, বিমল গুরুং পাহাড়ে নেই। পাহাড়ও এখন দৃশ্যত শান্ত। কিন্তু গুরুং নিজে না থাকলেও তাঁর সঙ্গীরা এখনও পাহাড়েই রয়েছেন এবং সেই সঙ্গীদের মাধ্যমেই পাহাড়ে গুরুং ‘সক্রিয়’ রয়েছেন বলে আশঙ্কা ব্যক্ত করলেন জিটিএ-র তত্ত্বাবধায়ক প্রধান বিনয় তামাং। সেটাই এখন জিটিএ-র কাছে কার্যত ‘ছাইচাপা আগুন’।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মঙ্গলবার কালিম্পঙে ১৫টি বোর্ডের অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, ‘‘এখন তো ভোট হওয়ার পরিস্থিতি নয়।’’ কেন ভোট করার পরিস্থিতি এখন নেই, তা স্পষ্ট করে বৃহস্পতিবার বিনয় বললেন, ‘‘যিনি দার্জিলিঙে নেই, তাঁর কার্যকলাপের উপরে নজর রাখার চেষ্টা চলছে। কারণ, তাঁরা নেই, কিন্তু সঙ্গীরা তো আছেন। দু’পক্ষের মধ্যে যোগাযোগও আছে।’’ জিটিএ-র ভোট হলে গুরুংবাহিনী পাহাড়ে গোলমাল করতে পারে বলে সরাসরি আশঙ্কা প্রকাশ করে বিনয়ের আরও বক্তব্য, ‘‘আগুন নিভে গিয়েছে। কিন্তু নীচে যে ছাইচাপা আগুন এখনও রয়েছে, সেটা না নিভলে ভোট করানো সম্ভব নয়।’’
গুরুং দার্জিলিং পাহাড় ছেড়েছেন গত বছর জুনে, গোলমাল শুরু হওয়ার কিছু দিনের মধ্যেই। তার পরে রক্তক্ষয়ী আন্দোলন ও টানা ১০৪ দিনের বন্ধ পার হয়ে শান্তি আসে পাহাড়ে। বিনয়, অনীত থাপাকে সামনে রেখে জিটিএ-র তত্ত্বাবধায়ক বোর্ড গঠিত হয় গত সেপ্টেম্বরে। ছ’মাস পরে তার মেয়াদও বাড়ানো হয়েছে। এখন প্রশ্ন, আর কত দিন ধরে এ ভাবে তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে কাজ চালাবেন বিনয়রা?