পহেলগাঁও কাণ্ডের জেরে তৈরি হওয়া যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলায় বুধবার (৭মে) সারা দেশে মহড়ার কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। সেই কর্মকাণ্ডে নাগরিক, দলের নেতা-কর্মী এবং ছাত্রদের এগিয়ে এসে স্বেচ্ছাসেবকের ভূমিকা পালনের আহ্বান জানাল সর্বভারতীয় বিজেপি। মঙ্গলবার সর্বভারতীয় বিজেপির এক্স হ্যান্ডল থেকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশিকা পোস্ট করে ওই আহ্বান জানানো হয়েছে।
বুধবার সব মিলিয়ে দেশের ২৫৯টি জায়গায় এই মহড়া চলবে। মহড়া চলবে গ্রামীণ এলাকাতেও। বাংলার মোট ২৩টি জেলার ৩১টি জায়গায় ‘মক ড্রিল’ হবে বলে জানানো হয়েছে। তাতে রয়েছে কোচবিহার, দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, মালদহ, শিলিগুড়ি, গ্রেটার কলকাতা, দুর্গাপুর, হলদিয়া, হাসিমারা, খড়্গপুর, বার্নপুর-আসানসোল, ফরাক্কা, খেজুরিঘাট, চিত্তরঞ্জন, বালুরঘাট, আলিপুরদুয়ার, রায়গঞ্জ, ইসলামপুর, দিনহাটা, মেখলিগঞ্জ, মাথাভাঙা, কালিম্পং, জলঢাকা, কার্শিয়াং, কোলাঘাট, বর্ধমান, বীরভূম, পূর্ব-পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি, মুর্শিদাবাদের মতো জায়গা। ১৯৭১ সালের ভারত-পাক যুদ্ধের আগে শেষ বার এই রকম অসামরিক মহড়া হয়েছিল। ৫৪ বছর পরে তেমনটা হতে চলেছে বুধবার।
আরও পড়ুন:
দেশের সব রাজ্যকে পাঠানো নির্দেশে মূলত বিমান হামলা হলে কী ধরনের পদক্ষেপ করতে হবে, সে বিষয়ে বিস্তারিত নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজ্যগুলিকে পাঠানো বার্তায় বলা হয়েছে, বুধবারের মহড়ায় খতিয়ে দেখে নিতে হবে যে, বিমান হামলার সময়ে সতর্কতামূলক সাইরেন ব্যবস্থা সক্রিয় রয়েছে কি না। পাশাপাশি রাতে হামলার ক্ষেত্রে যুদ্ধবিমানের খবর পাওয়ামাত্র যাতে হঠাৎ করে সমস্ত আলো নিবিয়ে দিয়ে ‘ক্র্যাশ ব্ল্যাকআউট’ করে শত্রু বিমানবাহিনীকে বিভ্রান্ত করে দেওয়া যায়, তারও মহড়া সেরে রাখতে বলা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে নাগরিকদের করণীয় কী, কোন কোন বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে, ইত্যাদি বিষয়ে সচেতন করার জন্য স্বেচ্ছাসেবকদের ভূমিকা নেওয়ার আবেদন জানিয়েছে বিজেপি।