চিন্তিত রাজ্য বিজেপি নেতারা। ফাইল চিত্র
কলকাতা ও হাওড়া পুরসভায় নির্বাচন আগামী ১৯ ডিসেম্বর। হাতে সময় রয়েছে সপ্তাহ পাঁচেক। কিন্তু সেই ভোট পরিচালনার জন্য কমিটি গঠন করেও তা ঘোষণা করতে ইতস্তত করছে রাজ্য বিজেপি। হাওড়ার কমিটি নিয়ে দলের ভিতরে যে আলোচনা হয়, তাতেই ক্ষোভ সামনে এসে যায়। তৃণমূল থেকে আসা রথীন চক্রবর্তীর নেতৃত্ব মানতে অস্বীকার করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে সরব হন হাওড়া সদরের সভাপতি সুরজিৎ সাহা। তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করা হলেও অস্বস্তি কাটেনি। হাওড়ায় আরও কেউ ক্ষোভ প্রকাশ করবেন কি না, তা নিয়ে দলে সংশয় রয়েছে। সেই সংশয় রয়েছে কলকাতা নিয়েও। বিজেপি সূত্রে খবর, সে কারণেই হাওড়ার পাশাপাশি কলকাতার কমিটি ঘোষণাও আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে। দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারই ধীরে চলার নির্দেশ দিয়েছেন বলে গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর।
গত মঙ্গলবার হাওড়ার পাশাপাশি কলকাতার কমিটি তৈরি করে রাজ্য বিজেপি। সুকান্ত, শুভেন্দু ছাড়াও শীর্ষ রাজ্য নেতাদের অনেকেই সেই বৈঠকে ছিলেন। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতা পুরসভার ১৪৪টি আসনে ভোটের জন্য চারটি জোনে ভাগ করা হবে। সেই চারটি জোনের দায়িত্ব দেওয়ার জন্য চারটি নামও চূড়ান্ত হয়। প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল, রুদ্রনীল ঘোষ, তুষারকান্তি ঘোষ এবং কল্যাণ চৌবে। এই চার জনকে মাথায় রেখে কমিটি তৈরি হয়ে গেলেও আপাতত তা ঘোষণা করতে চাইছে না রাজ্য বিজেপি। কারণ, এই চার জনের মধ্যে রাজ্য সম্পাদক পদে থাকা তুষারকান্তি ছাড়া বাকিরা প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে নতুন। রুদ্রনীল বিধানসভা নির্বাচনের আগেই দলে এসেছেন। এঁদের নেতৃত্ব কলকাতার পুরনো নেতারা মেনে নেবেন কি না, তা নিয়েই শঙ্কা। দল চাইছে না কলকাতাতেও হাওড়ার মতো অনভিপ্রেত কিছু ঘটুক।
প্রসঙ্গত, কলকাতা পুরসভায় গত নির্বাচনে আশাতীত ফল করেছিল বিজেপি। ৭, ২২, ২৩, ৪২, ৭০, ৮৬ এবং ৮৭ ওয়ার্ডে জয় পায় পদ্ম। যদিও সাত পুরপ্রতিনিধিকে ধরে রাখতে পারেনি গেরুয়া শিবির। নির্বাচনের পরে ৭ নম্বরের কাউন্সিলর বাপি ঘোষ এবং ৭০ নম্বরের অসীম বসু তৃণমূলে যোগ দেন। অন্য দিকে, ১০২ নম্বরের সিপিএম কাউন্সিলর রিঙ্কু নস্কর গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি-তে যোগ দেন। তবে এ বার সব ক’টি আসন ধরে রাখা যাবে কি না তা নিয়ে চিন্তায় বিধানসভা নির্বাচনে বিপর্যস্ত বিজেপি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy