আসন্ন বিধানসভা ভোটের আগে পুর-এলাকার নাগরিক পরিষেবাকে সামনে রেখে তরজায় জড়াল বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেস। কলকাতা ও হাওড়া পুরসভার বিরুদ্ধে ব্যর্থতা ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তৃণমূলকে নিশানা করেছে বিজেপি। পক্ষান্তরে, তাদের আমলে দুই শহরের শ্রীবৃদ্ধির কথা বলেছে শাসক দল।
বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা তাপস রায়, কলকাতা পুরসভার পুর-প্রতিনিধি সজল ঘোয, মীনাদেবী পুরোহিত, বিজয় ওঝা এবং দলের রাজ্য সম্পাদক উমেশ রাইয়েরা শুক্রবার পুরসভা পরিচালনা নিয়ে সরব হয়েছেন। মুরলীধর সেন লেনে বিজেপির দফতর থেকে তাপস বলেছেন, “দুই শহরে বসবাসের উপযোগী পরিবেশ নেই। সমবায়গুলিতে কোটি-কোটি টাকা তছরুপ হচ্ছে। রাজ্যের সব পুরসভা, পুর-নিগমে ঠিকাদারেরা বকেয়া চাইতে গেলে জুটছে শাসানি।” এই সূত্র ধরেই সজলের অভিযোগ, “এই সরকার ক্ষমতায় থাকলে কলকাতার পুরকর্মীদের বেতন হবে না। প্রায় ৪০ হাজার কর্মীর ঘাটতি। গুলশান কলোনির ১৩৫টির মতো সর্বত্র তৃণমূল অবৈধ নির্মাণকে শিল্পের পর্যায় নিয়ে গিয়েছে।” হাওড়ায় পুর-নির্বাচন না-হওয়ার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে উমেশের দাবি, “বাসিন্দারা এখন হাওড়াকে নরক নিগম বলছেন। দেশের সব থেকে নোংরা শহর হিসাবে প্রথমে নাম এসেছে হাওড়ার। হাওড়ায় অবৈধ নির্মাণকে বৈধ করেছে পুরসভা। আদালত কয়েকশো বহুতল ভাঙার নির্দেশ দিলেও বাস্তবে একটিও ভাঙা হয়নি।”
পাল্টা সরব হয়েছে তৃণমূলও। দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের বক্তব্য, “কলকাতা বিশ্বমানের শহর। ইংরেজ আমলে অপরিকল্পিত নগরায়নের ফলে কলকাতা ও হাওড়া তৈরি হয়েছিল। বাম আমলে অযত্নে তা নষ্ট হয়েছ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নতুন ভাবে গড়ার চেষ্টা করছেন। বহু দিন বাদে শহরে যাঁরা ফেরেন, তাঁরা তফাতটা বুঝতে পারেন।”
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)