সেয়ানে-সেয়ানে: গোটা এলাকায় প্রধানমন্ত্রীর ছবির আশেপাশেই চোখে পড়েছে মুখ্যমন্ত্রীর কাটআউট। ছবি: নির্মাল্য প্রামাণিক
প্রধানমন্ত্রীর সভা বলে কথা। জান লড়িয়ে মাঠ ভরানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা বিজেপি।
খাতা-কলমে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আজ, শনিবার মতুয়া ধর্মসভায় যোগ দিতে ঠাকুরনগরে আসছেন। ওই ধর্মসভার আয়োজক, অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘ। তা বলে হাতগুটিয়ে বসে নেই বিজেপি নেতৃত্ব। প্রধানমন্ত্রীর সভা থেকে রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে তৎপর তাঁরা। মতুয়া ধর্মসভায় মতুয়া ভক্তেরা আসবেন, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর সভার মাঠ যাতে ভিড়ে উপচে পড়ে, সে জন্য চেষ্টায় ত্রুটি রাখছেন না বিজেপি নেতৃত্ব। দলের বারাসত সাংগঠনিক জেলার সভাপতি প্রদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘চেষ্টা করছি, আমাদের সাংগঠনিক শক্তি দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সভায় দু’লক্ষ মানুষের সমাগম করতে।’’
প্রধানমন্ত্রীর সভায় মাঠ ভরাতে মূলত দলের আটটি সাংগঠনিক জেলাকে বেছে নেওয়া হয়েছে। বারাসত, বসিরহাট, ব্যারাকপুর, দমদম, ব্যারাকপুর, রানাঘাট, কৃষ্ণনগর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা। ওই সব জেলার সমস্ত স্তরের পদাধিকারীদের অবশ্যই সভায় হাজির হতে দলের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওই সব এলাকা থেকে গাড়ি ভাড়া করে বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা আসবেন। এই এলাকাগুলিকে বেছে নেওয়ার কারণ, মতুয়া সম্প্রদায়ের ভাল প্রভাব আছে এ সব জায়গায়। লোকসভা ভোটে দুই ২৪ পরগনা এবং নদিয়ায় ভাল ফল করতে হলে মতুয়াদের সমর্থন জরুরি বলে রাজনৈতিক দলগুলি মনে করে। সে কারণেই তিনটে জেলাকে বিজেপি নেতৃত্ব পাখির চোখ করেছে। দলের একটি সূত্র জানাচ্ছে, দলের ভাড়া করা গাড়িতে ওই সব এলাকা থেকে মতুয়া ভক্তদেরও আনা হবে।
বারাসত সাংগঠনিক জেলার মধ্যে রয়েছে ২৪৭৩টি বুথ। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতি বুথ থেকে ১১ জন সাধারণ মানুষকে প্রধানমন্ত্রীর সভায় নিয়ে যাওয়ার জন্য স্থানীয় নেতৃত্বকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। গত কয়েক দিন ধরে বিজেপির রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের আনাগোনা বেড়েছে ঠাকুরনগরে। জেলা স্তরের নেতারা দিনরাত পড়ে রয়েছেন।
শুক্রবার থেকে বিজেপি ও মতুয়া ভক্তেরা ঠাকুরবাড়িতে ভিড় করছেন। প্রধানমন্ত্রীর কাটআউট, তোরণ ও দলীয় পতাকায় ছেয়ে দেওয়া হয়েছে। চাঁদপাড়া ও যশোর রোডে দলের তরফে তোরণ করা হয়েছে। যশোর রোডে দু’পাশের গাছে দলীয় পতাকা লাগানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কাটআউটে অবশ্য বিজেপির কথা উল্লেখ নেই। মতুয়া মহাসঙ্ঘের তরফেও তোরণ করা হয়েছে। সেখানে প্রধানমন্ত্রীর পাশে শান্তনুর ছবি। তোরণের উপরে রয়েছে হরিচাঁদ গুরুচাঁদ ঠাকুরের ছবি। তোরণগুলিতে বড়মার ছবি না থাকায় সাংসদ মমতা ঠাকুর বলেন, ‘‘বড়মার ছবি তোরণগুলিতে দেওয়ার প্রয়োজন মনে করেনি ওরা। ওঁকে অশ্রদ্ধা করা হয়েছে।’’ বারাসত সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি বিপ্লব হালদার বলেন, ‘‘আমরা এখন সকলেই মতুয়া। প্রধানমন্ত্রীর সভা মতুয়া ভক্তদের সঙ্গে আমাদের মিলনোৎসবের সুযোগ করে দিয়েছে। বিরোধী দলের কর্মী-সমর্থকেরাও উৎসবে সামিল হচ্ছেন।’’ শান্তনুর কথায়, ‘‘প্রধানমন্ত্রীর হাতে আমরা ঠাকুরের দ্বাদশ বাণী সম্মিলিত একটি স্মারক তুলে দেব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy