Advertisement
১৭ মে ২০২৪

তৃণমূল কর্মী খুনে অভিযুক্ত বিজেপি নেতার দেহ উদ্ধার

মৃতের নাম কাশীনাথ ঘোষ (৪৬)। বাড়ি দড়িনকুণ্ডার পাশের গ্রাম কোটায়। একাই থাকতেন। দলের বুথ সভাপতি ছিলেন। তবে, দড়িনকুণ্ডার তৃণমূল কর্মী লালচাঁদ বাগ খুনের পর থেকে গ্রেফতারি এড়াতে গ্রামবাসীদের বাড়িতে থাকছিলেন বলে স্থানীয় সূত্রে দাবি।

কাশীনাথ ঘোষ

কাশীনাথ ঘোষ

নিজস্ব সংবাদদাতা
গোঘাট শেষ আপডেট: ২৯ জুলাই ২০১৯ ০৩:৪৮
Share: Save:

দিন ছয়েক আগে খুন হন হুগলির গোঘাটের দড়িনকুণ্ডা গ্রামের এক তৃণমূল কর্মী। রবিবার সকালে সেই ঘটনায় অভিযুক্ত এক বিজেপি নেতার মৃতদেহ মিলল তাঁর বাড়ি থেকে দু’কিলোমিটার দূরে দলকার জলার নিকাশি নালা থেকে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে খুনের পাল্টা অভিযোগ তুলেছে বিজেপি এবং মৃতের পরিবার। তৃণমূল অভিযোগ মানেনি।

মৃতের নাম কাশীনাথ ঘোষ (৪৬)। বাড়ি দড়িনকুণ্ডার পাশের গ্রাম কোটায়। একাই থাকতেন। দলের বুথ সভাপতি ছিলেন। তবে, দড়িনকুণ্ডার তৃণমূল কর্মী লালচাঁদ বাগ খুনের পর থেকে গ্রেফতারি এড়াতে গ্রামবাসীদের বাড়িতে থাকছিলেন বলে স্থানীয় সূত্রে দাবি। শনিবার বিকেলে এক গ্রামবাসীকে পাশেই শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার কথা বলে বেরিয়ে যান কাশীনাথ। রবিবার সকালে কিছু শ্রমিক দলকার জলার নালায় তাঁর দেহ দেখতে পান। কয়েক জনের দাবি, লুঙ্গিতে কাশীনাথের হাত বাঁধা ছিল। তাঁকে পিটিয়ে-চুবিয়ে খুন করা হয়।

পুলিশের দাবি, হাত বাঁধা ছিল না। জলে হাতে লুঙ্গি জড়িয়ে গিয়েছিল। এ দিন বিকেল পর্যন্ত থানায় অভিযোগ দায়ের হয়নি। নালায় পড়ে কাশীনাথের মৃত্যুর সম্ভাবনাও পুলিশ উড়িয়ে দিচ্ছে না। এ দিন গ্রামবাসীদের একাংশ দেহ উদ্ধার করতে যাওয়া পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায়। জেলা (গ্রামীণ) পুলিশ সুপার তথাগত বসু বলেন, “অভিযোগ না-হওয়ায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা করে দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।” মৃতের ভাই উত্তম পুলিশের বিরুদ্ধে এফআইআর না-নেওয়ার অভিযোগ তুলে বলেন, ‘‘পুলিশ ময়নাতদন্তের আগে তৃণমূলের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ নিতে চাইছে না।’’ পুলিশ তা মানেনি।

কাশীনাথ কটকে গয়নার দোকানে কাজ করতেন। লোকসভা ভোটের সময় ফেরেন। স্ত্রী মুনমুন কর্মসূত্রে হায়দরাবাদে। একমাত্র ছেলে পড়াশোনার জন্য বীরভূমের সিউড়িতে। বাবা, মা ও ভাই থাকেন আরামবাগের মনসাতলায়। শনিবার রাতেই খবর পেয়ে পুলিশ নালার ধার থেকে ব্যাগ এবং একপাটি চটি উদ্ধার করে। সে সময় কিছু বোঝা না-যাওয়ায় রবিবার সকালে তল্লাশির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে। তার আগেই কাশীনাথের দেহ ভেসে ওঠার খবর যায়। বিজেপির আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিমান ঘোষের দাবি, ‘‘তৃণমূল কর্মী খুন হন দলের দ্বন্দ্বে। কাশীনাথের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তোলা হয়। ওঁকে হুমকি দেওয়া হয়। পরিকল্পনা করে তাঁকে খুন করল তৃণমূল।’’ এ দিন মৃতের বাড়ি গিয়ে পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু। অভিযোগ উড়িয়ে জেলা তৃণমূল সভাপতি দিলীপ যাদবের দাবি, ‘‘তৃণমূল ঘটনায় যুক্ত নয়।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Death BJP Leader TMC Police
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE