গুঁড়িয়ে যাওয়া তৃণমূলের পার্টি অফিস দেখে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থাকে (এনআইএ) দিয়ে আউশগ্রাম বিস্ফোরণের তদন্তের দাবি জানালেন বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়। দাবি করলেন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকেও বিষয়টি জানাবেন। যদিও পুলিশের দাবি, ঘটনাস্থল থেকে কিছু সুতলি বোমা ও সকেট বোমার টুকরো ছাড়া আর কিছু মেলেনি। এলাকার তৃণমূল পর্যবেক্ষক অনুব্রত মণ্ডল বলেন, ‘‘কে, কী বললেন, তাতে কিছু এসে যায় না। তদন্ত চলছে। আইন আইনের পথে চলবে।’’
শনিবার রাতে পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের পিচকুড়িতে তৃণমূলের উক্তা অঞ্চলের কার্যালয় বিস্ফোরণে মাটিতে মিশে যায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ দাবি করেন, ওই কার্যালয়ে বোমা মজুত রাখা ছিল। তা সরাতে গিয়ে বিস্ফোরণ ঘটে। এক জন মারা যান। জখমও হন কয়েক জন। যদিও পুলিশ কোনও মৃত্যুর কথা মানেনি। দেহও মেলেনি। তৃণমূলের তরফে আবার দাবি করা হয়, সিপিএমের লোকেরা বাইরে থেকে বোমা ছুড়েছে।
বিজেপি নেতৃত্ব মঙ্গলবার ঘটনাস্থলে গিয়ে দাবি করেন এই ঘটনায় এনআইএ-কে দিয়েই তদন্ত করাতে হবে। তাঁদের কথায়, ‘‘বিস্ফোরণের পরে একটি পরিবারকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। অথচ, রাজ্য সরকার কেউ মারা গিয়েছে বলে স্বীকার করছে না। পুলিশও কিছু জানাতে চাইছে না। রাজ্য পুলিশ বা সিআইডি-র উপরে আমাদের ভরসা নেই।” খাগড়াগড় বিস্ফোরণ-কাণ্ডের সঙ্গে আউশগ্রামের তুলনা টেেন বিজেপি নেত্রীর অভিযোগ, “পুর এবং পঞ্চায়েত ভোটকে সামনে রেখে তৃণমূল দলীয় কার্যালয়ে বোমা মজুত করেছিল। রাজ্যে জেহাদিদের আশ্রয় দিচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। খাগড়াগড়ের মতো এখানেও রাসায়নিক মিলেছে। সে জন্য আমরা এনআইএ-তদন্ত চাইছি।” রবি ও সোমবার বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও এই ঘটনায় এনআইএ-তদন্ত চেয়েছিলেন।
এনআইএ সূত্রের বক্তব্য, তারা এই ঘটনাটিকে সম্পূর্ণ স্থানীয় রাজনৈতিক বিষয় বলে মনে করছে। আপাতত আউশগ্রামের দিকে নজর দিতে চাইছে না তারা। সিআইডি-র বম্ব স্কোয়া়ডের দাবি, বিস্ফোরণস্থল থেকে সকেট বোমার টুকরো, ভাঙা পাইপ এবং সুতলি মিলেছে। কেউ মারা গিয়েছে, এমন প্রমাণ মেলেনি।
বিজেপি নেতৃত্ব এই ঘটনার এআইএ তদন্ত দাবি করলেও তাদের বক্তব্যকে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল। দলের নেতা অনুব্রতর মন্তব্য, “এনআইএ-তদন্ত কী এ ভাবে হয়? এ নিয়ে কথা বললেই ওই দল ও তাদের নেতারা গুরুত্ব পেয়ে যাবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy