বক্তা: মাতকাতপুরে মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। নিজস্ব চিত্র
গরিবের টাকা লুট নিয়ে নয়। ‘মমতাদি’ চিন্তা করছেন পুলিশ কমিশনারকে বাঁচানো নিয়ে। বুধবার খড়্গপুর গ্রামীণের মাতকাতপুরের সভা থেকে এ ভাবেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনায় সরব হলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা তথা মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহান।
মাতকাতপুরে ‘গণতন্ত্র বাঁচাও সভা’র আয়োজন করেছিল বিজেপি। সেখানেই মুখ্য বক্তা হিসেবে হাজির ছিলেন শিবরাজ। বলেছেন, মিনিট পনেরো। হেলিপ্যাডের অনুমতি, ব্রিগেডে বিজেপি বিরোধী দলগুলির সমাবেশ থেকে শুরু করে মেট্রো চ্যানেলে মুখ্যমন্ত্রীর ধর্না— শিবরাজ ছুঁয়ে গিয়েছেন সাম্প্রতিক সব বিষয়ই। ভুয়ো অর্থলগ্নি সংস্থা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘গরিব মানুষেরা কষ্টের টাকা সঞ্চয় করে চিটফান্ড রেখেছিলেন। সেই টাকা খেয়ে পালিয়ে গেল চিটফান্ড সংস্থা। গরিবের টাকা চিটফান্ড খেয়ে পালিয়ে গেল তা নিয়ে মমতাদির চিন্তা নেই। মমতাদি চিন্তা করছেন পুলিশ কমিশনারকে বাঁচানো নিয়ে।” মমতার ধর্না প্রসঙ্গে শিবরাজের প্রশ্ন, “একজন পুলিশ অফিসারকে বাঁচানোর জন্য মমতাদি ধর্নায় বসে গেলেন। গোটা দেশ জবাব চাইছে আপনি কেন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারকে বাঁচাতে চাইছেন? যদি কমিশনারকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হত তবে কে ফাঁসত?” একইসঙ্গে তাঁর বিস্ময়, “পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার আইপিএস হয়েও ধর্নায় বসে গেলেন। এটা কখনও হয়!”
এ দিন সভার মাঠ ভরেনি। উপস্থিত কর্মী-সমর্থকদের চাঙ্গা করতে শুরুতে বাংলায় বক্তৃতা করেন শিবরাজ। বিজেপি নেতাদের সভার অনুমতি বিতর্কে মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করেন তিনি। এরপরই সুর চড়িয়ে তিনি বলেন, ‘‘এই অত্যাচার, গুন্ডাবাজি চলতে দেব না। রাত আপনার হলেও সকাল আমাদের হবে।” তৃণমূলকে উৎখাত করার সংকল্প নিতে মানুষের কাছে আবেদন করেছেন শিবরাজ। সম্প্রতি তৃণমূলের ব্রিগেড সমাবেশ নিয়ে তাঁর কটাক্ষ, ‘‘বরযাত্রী তৈরি, বাজনা বাজছে, ঘোড়া দাঁড়িয়ে রয়েছে। কিন্তু ঘোড়ায় বর কে হবে সেটা বলে দিন মমতাদি।”
পাল্টা কটাক্ষ করে তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, ‘‘মধ্যপ্রদেশের মানুষ শিবরাজজিকে আগেই বাতিল করেছিল। এবার দেড় ঘন্টা মঞ্চের পিছনে অপেক্ষার পরেও ওঁদের সভায় এখানকার মানুষ যায়নি।’’ বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে পাশে বসিয়ে এ দিনের মধ্যপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির ভরাডুবি নিয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। বলেছেন, ‘‘আপনারা বলবেন, মধ্যপ্রদেশে তো আমরা হেরে গিয়েছি। কিন্তু আমরা হারিনি। ওঁরা মিলেমিশে সরকার তৈরি করেছে। আমি বলে যাচ্ছি মধ্যপ্রদেশে ২৯টির ২৯টি আসনে আমরা লোকসভা নির্বাচনে জিতব।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy