Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
BJP

দীর্ঘদিনের সুনীতাও বিদ্রোহী! কমিটি ঘোষণা হতে না হতেই পদত্যাগের চিঠি, অস্বস্তি গেরুয়া শিবিরে

সুনীতার ঘনিষ্ঠরা জানাচ্ছেন, ঝাওয়ার পরিবার কলকাতা তো বটেই এই রাজ্যে বরাবর বিজেপি-র উত্থানে বড় ভূমিকা নিয়ে এসেছে।

সুনীতা ঝাওয়ারও কি এ বার গেরুয়া শিবিরের বিদ্রোহীদের তালিকায় নাম লেখালেন?

সুনীতা ঝাওয়ারও কি এ বার গেরুয়া শিবিরের বিদ্রোহীদের তালিকায় নাম লেখালেন?

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ জানুয়ারি ২০২২ ১৮:৫৮
Share: Save:

গত পুর নির্বাচনে পরাজিত হলেও টানা পাঁচ বারের কাউন্সিলর ছিলেন কলকাতার। ৪২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ১৯৯৫ সাল থেকে টানা জিতলেও এ বার পারেননি। তবে লড়াইয়ে ছিলেন। সেই সুনীতা ঝাওয়ারও কি এ বার গেরুয়া শিবিরের বিদ্রোহীদের তালিকায় নাম লেখালেন? এমন প্রশ্ন তৈরি হল বিজেপি-র উত্তর কলকাতা জেলার নতুন সভাপতি কল্যাণ চৌবেকে লেখা একটি চিঠির পরে। বৃহস্পতিবার বিকেলে উত্তর কলকাতা জেলা কমিটি ঘোষণা করেন কল্যাণ। সেই কমিটিতে জেলার অন্যতম সহ-সভাপতি করা হয় সুনীতাকে। আর তার ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই কল্যাণের উদ্দেশে চিঠি পাঠান সুনীতা। জানিয়ে দেন ব্যক্তিগত কারণে তিনি ওই দায়িত্ব নিতে পারবেন না। ইস্তফাপত্রে সাধারণ কর্মী হিসেবে কাজ করার ইচ্ছাও প্রকাশ করেছেন তিনি।

 ইস্তফাপত্রে সাধারণ কর্মী হিসেবে কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন সুনীতাদেবী

ইস্তফাপত্রে সাধারণ কর্মী হিসেবে কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন সুনীতাদেবী

কিন্তু কেন এমন সিদ্ধান্ত? আনন্দবাজার অনলাইনের পক্ষে যোগাযোগ করা হলে মুখ খুলতে রাজি হননি সুনীতা। তবে তাঁর ঘনিষ্ঠরা জানাচ্ছেন, ঝাওয়ার পরিবার কলকাতা তো বটেই এই রাজ্যে বরাবর বিজেপি-র উত্থানে বড় ভূমিকা নিয়ে এসেছেন। নির্বাচনে লড়াই না করলেও সুনীতার স্বামী কিষাণ ঝাওয়ার রাজ্য বিজেপি-র অনেক পুরনো নেতা। কলকাতার জেলা সভাপতির দায়িত্বও পালন করেছেন দীর্ঘ সময়। কিষাণের বাবা শঙ্কর ঝাওয়ার একটা সময়ে বিজেপি-র রাজ্য কমিটিতে ছিলেন। সুনীতা ঘনিষ্ঠদের বক্তব্য, এমন রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা থাকা সুনীতাদেবী এ বার নির্বাচনে হেরেছেন বটে কিন্তু রাজনীতিতে তাঁর গুরুত্ব কমেনি। সুনীতা বা ঝাওয়ার পরিবারের থেকে অনেক পরে রাজনীতিতে আসা কল্যাণ চৌবে যে কমিটির সভাপতি সেখানে সুনীতাদেবীকে সহ-সভাপতি করাটা অপমানজনক। প্রসঙ্গত, কল্যাণের কমিটিতে মোট আটজন সহ-সভাপতি রয়েছেন। তাঁর মধ্যে ‌ষষ্ঠ নামটি সুনীতার।

এখনও পর্যন্ত সুনীতা মুখ খুলতে রাজি না হলেও ইতিম‌ধ্যেই দলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করা সাময়ির বরখাস্ত বিজেপি নেতা রীতেশ তিওয়ারির দাবি, ‘‘বিজেপি থেকে আর কাউকে বরখাস্ত করার দরকার নেই। ভার্চুয়াল চক্রবর্তী ও টুইটার মালব্য দলে থাকলেই সব হয়ে যাবে।’’ প্রসঙ্গত সম্প্রতি বিজেপি-র রাজ্য সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তী এবং কেন্দ্রীয় নেতা অমিত মালব্যকে এই নামেই কটাক্ষ করছেন রীতেশরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

BJP Politics Councillor
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE