রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটে তফসিলি জাতি ও জনজাতিদের জন্য সংরক্ষিত আসনগুলিতে বেআইনি ভাবে তৃণমূলের সাধারণ শ্রেণিভুক্ত প্রার্থীদের লড়ার সুযোগ করে দেওয়ার চক্রান্ত চলছে বলে অভিযোগ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এই উদ্দেশ্যে মহকুমা শাসকদের একাংশের মাধ্যমে চাপ দিয়ে জাল জাতিগত শংসাপত্র বিলিরও অভিযোগ তুলেছেন তিনি। যদিও তৃণমূলের মুখপাত্র বিশ্বজিৎ দেব শুভেন্দুর এই অভিযোগ খারিজ করেছেন।
শুভেন্দু বুধবার টুইটারে লেখেন, ‘‘সূত্র মারফত জানতে পেরেছি, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আদিবাসী কল্যাণ এবং অনগ্রসর জাতি উন্নয়ন দফতরের ইনস্পেক্টরেরা মহকুমা শাসকদের চাপের মুখে তৃণমূলের প্রার্থীদের ভুয়ো জাতিগত শংসাপত্র দিতে বাধ্য হচ্ছেন। তাঁরা যাতে তফসিলি জাতি ও জনজাতির প্রার্থীদের জন্য সংরক্ষিত আসনে লড়তে পারেন, সেই উদ্দেশ্যেই এই পদক্ষেপ।’’ তাঁর অভিযোগ, মালদা সদর, বসিরহাট, চঞ্চল ও ইসলামপুর মহকুমায় এই অনিয়ম ব্যাপক ভাবে চলছে।
According to my sources, the Inspectors of the BCW & TD (Backward Classes Welfare & Tribal Development Department; Govt of West Bengal) are being forced by the SDOs (Sub Divisional Officers) to issue False Caste Certificates to prospective TMC Candidates, so that they become…
— Suvendu Adhikari • শুভেন্দু অধিকারী (@SuvenduWB) June 14, 2023
বিরোধী দলনেতার দাবি, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আদিবাসী কল্যাণ এবং অনগ্রসর জাতি উন্নয়ন দফতরকে তফসিলি জাতি ও জনজাতি এবং ওবিসি সম্প্রদায়ের সামাজিক, অর্থনৈতিক সাংস্কৃতিক উন্নয়নের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাদের দায়িত্বের মধ্যে রয়েছে জাতিগত শংসাপত্র বিলি করা এবং পরিষেবা, পদ এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সংরক্ষণের প্রয়োগবিধি বলবৎ করা। কিন্তু তার বদলে অনিয়মে অংশ নিতে বাধ্য করা হচ্ছে দফতরকে।
তৃণমূলের মুখপাত্র বিশ্বজিৎ অবশ্য অভিযোগ খারিজ করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘শুভেন্দু অধিকারী এক জন প্রমাণিত মিথ্যাবাদী। তাঁর কথা বাংলার মানুষ বিশ্বাস করে না। তৃণমূলের সাংগঠনিক অবস্থা এত দুর্বল নয় যে জাল শংসাপত্র দিয়ে প্রার্থীকে ভোটে দাঁড়় করাতে হবে। শুভেন্দুর দল ভাল করে ৩০ হাজার আসনে লড়াই করতে পারবে না। তাঁর দলের সেই সাংগঠনিক জোর নেই। তাই মিথ্যাচার বন্ধ করে তৃণমূলের সঙ্গে রাজনৈতিক লড়াই করুন।’’