তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর এক মাস কেটেছে। ইতিমধ্যেই দলের হয়ে একাধিক জনসভাও করেছেন। সবেতেই তাঁকে দেখা গিয়েছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের ঢঙে নিজের বক্তব্য রাখতে। মুখে উঠে এসেছে হিন্দি ভাষা। এ বার কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পথে হেঁটেই জনসংযোগ সারতে কৃষকের বাড়িতে খেলেন বিজেপি নেতা শুভেম্দু অধিকারী।
মঙ্গলবার কৃষি বিলের সমর্থনে নন্দীগ্রামের শিবরামপুর থেকে বিরুলিয়া পর্যন্ত প্রায় ৪ কিলোমিটার পদযাত্রা তিনি। ঘোলপুকুরে একটি জনসভার আয়োজন করা হয় বিজেপির তরফে। মূল বক্তা ছিলেন শুভেন্দুই। জনসভার পরে বিরুলিয়ার এক কৃষকের বাড়িতে গিয়ে দুপুরের আহার সারেন বিজেপি নেতা। এদিনের সভায় বাম-কর্মীদের বিজেপিতে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। শুভেন্দু বলেন, ‘‘যাঁরা এখনও ঝান্ডা ধরে বাম দল করছেন তাঁদের উচিত বিজেপিতে আসা।’’ কারণ হিসেবে তুলে ধরেন, বিজেপি ক্ষমতায় এলে স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি, কলেজের ছাত্র সংসদ, পুরসভায় ভোট হওয়ার যুক্তি। মুখ্যমন্ত্রীর নন্দীগ্রামে প্রার্থী হওয়ার প্রসঙ্গ টেনে এ দিন ফের শুভেন্দু বলেন, ‘‘উনি বলেছেন নন্দীগ্রামের প্রার্থী হবেন। ভবানীপুর বড়বোন, নন্দীগ্রাম মেজ বোন কিছুদিন পরে ডোমজুড় সেজ আর বালি ছোট বোন হবে! ভোট এলেই নন্দীগ্রামের কথা মনে পড়ে? ২০১৬র বিধানসভা নির্বাচনের আগে ২০১৫-তে এসেছিলেন। ফের এখন ভোটের আগে এসেছেন।’’ আমপান, আবাস যোজনা সহ একাধিক সরকারি প্রকল্পে দুর্নীতি নিয়েও তৃণমূলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি শুভেন্দু।
তবে এদিন যে কৃষকের বাড়িতে তিনি দুপুরের আহার সারেন সেই চিত্তরঞ্জন দাস এলাকায় বামকর্মী হিসেবে পরিচিত। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, অন্য রাজনৈতিক মতাদর্শে বিশ্বাসী কোনও মানুষের সঙ্গে মিশে গিয়ে তাঁকে নিজের দলে টানা বিজেপির পুরনো পদ্ধতি। শুভেন্দুও সেই পথ অনুসরণ করছেন। চিত্তরঞ্জের ছেলে দেবব্রত দাস বলেন, ‘‘২০১৮ সালে মোদিজীর কর্মকাণ্ডে অনুপ্রাণিত হয়ে বাম দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছি। আমরা যা প্রতিদিন খাই আজ শুভেন্দুবাবুও তাই খেয়েছেন।